অর্ণব দাস, বারাকপুর: পানিহাটির প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। পরিবার ও তৃণমূলের দাবি, এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রৌঢ়। এদিকে বিজেপির দাবি, নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য কোনও কারণ। এরই মাঝে প্রৌঢ়ের মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে খড়দহ থানায় এফআইআর দায়ের করলেন মৃতের ভাইয়ের স্ত্রী মৌসুমী কর। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসির নামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে।"
বছর সাতান্নর প্রদীপ কর উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির মহাজাতি নগরের বাসিন্দা ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তা নিয়ে তুঙ্গে চাপানউতোর। তৃণমূলের দাবি, এনআরসি আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রৌঢ়। বিজেপি তা মানতে নারাজ। এসবের মাঝেই বুধবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে মৃত প্রদীপ করের বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এরপর বেরিয়ে অমিত শাহ ও জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ওদের শাস্তি দেবার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আশ্বাস দেন মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার।
তার ঠিক পরেরদিন, বৃহস্পতিবার সকালে খড়দহ থানার দ্বারস্থ হলেন মৃতের ভাইয়ের স্ত্রী মৌসুমী। অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, "কেন্দ্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে এনআরসির নামে। আমি চাই আমার ভাসুর (প্রদীপ কর)-এর মৃত্যুর তদন্ত হোক।" প্রসঙ্গত, এই মৃত্যুর নেপথ্যে এনআরসি বা এসআইআর আতঙ্ককে মানতে নারাজ বিজেপি। এবিষয়ে বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি চণ্ডীচরন রায় দাবি করেন, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম ছিল প্রদীপ করের। এখানেই তাঁদের যুক্তি, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাহলে দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে আত্মহত্য়া করবেন কেন প্রদীপ? বিজেপির দাবি, অন্য কোনওকারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন প্রৌঢ়। তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত। যদিও পালটা দিয়েছে তৃণমূল।
