শেখর চন্দ্র, আসানসোল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর অ্যাকশনে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। কুলটির একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হানা এসটিএফের। উদ্ধার ১০টি ফায়ার আর্মস ও ৫৪টি কার্তুজ। গ্রেপ্তার ২। রবিবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছে।
শনিবার বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার পুরনো কুলটির কল্যানেশ্বরী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফের আধিকারিকরা। জাতীয় সড়কের কাছের ওই আবাসন থেকে ১০টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯ এমএম পিস্তলের ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও ৮ এমএম বন্দুকের ৫০ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে তাঁরা। অস্ত্রগুলো ভিন রাজ্য থেকে আনা হয়েছিল বলেই খবর।
অভিযানে ধৃত মিনারুল ইসলাম ও সফিকুল মণ্ডল। দুজনেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার বাসিন্দা। তাদের এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চালাবে এসটিএফ। তবে এ বিষয়ে মুখ খোলেনি কুলটি থানার পুলিশ।
এই প্রথম নয়। একাধিকবার এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করেছে এসটিএফ। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার রূপনারায়ণপুর চেক পোস্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেন গোয়ান্দারা। ২টি নাইন এমএম মেশিন কার্বাইন, ৩টি ম্যাগাজিন, ২টি সেভেন এমএম পিস্তল, ৩টি নাইন এমএম পিস্তল, ৫টি ওয়ান শাটার, এছাড়া ৩৫ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা যায়, বিহারের মুঙ্গের ও ভাগলপুর থেকে অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল।
ওই বছরের ২৫ মার্চ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চিতলডাঙা উপরপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় সালানপুর থানার রূপনরায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। নাটবল্টু কারখানার আড়ালে বেআইনি অস্ত্র তৈরি কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। সেখান থেকে ১২টি অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী, লেদ মেশিন, প্রচুর কাঁচামাল ও একটি মোটর সাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দা রাজকুমার চৌধুরী, প্রবীণ কুমার, মহম্মদ ইকবাল নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। একের পর ঘটনায় এসটিএফের অভিযান ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় পুলিশের বদলে বার বার কেন এসটিএফকে অভিযানে নামতে হচ্ছে সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।