shono
Advertisement

দীপাবলির আগেই আলো দেউচা-পাঁচামিতে, জমিদাতাদের চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন ফিরহাদ

মাসিক ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হল ৫৪ জন নাবালককে।
Posted: 02:37 PM Oct 22, 2022Updated: 04:32 PM Oct 22, 2022

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: দেউচা-পাঁচামি (Deucha Pachami) কয়লা প্রকল্পে জমিদাতাদের আরও এক দফায় চাকরি দেওয়া হল সরকারের তরফে। শনিবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সিউড়িতে গিয়ে জমিদাতাদের হাতে নিয়োগপত্র (Appoinment Letter) তুলে দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৩৮ জনকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৫৪ জন নাবালককে মাসিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাশামতো আর্থিক সাহায্য ও চাকরি পেয়ে স্বভাবতই খুশি জমিদাতারা। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে ফিরহাদ হাকিমের পাশাপাশি ছিলেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্পে (Coal Block) জমিদাতাদের জন্য আকর্ষণীয় পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সেইমতো ধাপে ধাপে পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে। দীপাবলির আগে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরও এক দফায় তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল পুনর্বাসন। জমিদাতাদের ২৩৮ জন পেলেন গ্রুপ ডি পদের নিয়োগপত্র। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী পুনর্বাসন প্যাকেজে আরও সংস্কার করেন। তাতে বলা হয়, যেসব জমিদাতাদের এখনও ১৮ বছর হয়নি অর্থাৎ নাবালক, তাঁদের এক বছরের জন্য ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। শনিবার সেই কথা অনুযায়ী ৫৪ জন নাবালকের হাতেও আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

[আরও পড়ুন: তাজমহলের বন্ধ ঘর খোলার আরজি সুপ্রিম কোর্টে, কী বলল শীর্ষ আদালত]

প্রসঙ্গত, এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে মহম্মদবাজারের দেউচা-পাঁচামি এলাকাকে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে সরকার আকর্ষণীয় পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করায় কাজে কোনও বাধা আসেনি। এই খনি তৈরি হলে অনুসারী প্রচুর শিল্পও গড়ে উঠবে। ব্যাপক কর্মসংস্থানের আশা রয়েছে। এছাড়া এই মুহূর্তে স্রেফ জমি দেওয়ার বদলে যে সরকারি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে খুশি এলাকাবাসী। ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। এবার আরও নিয়োগপত্র ও মাসিক ভাতা পাওয়ায় দীপাবলির (Diwali) আগে ফের আলো জ্বলে উঠল মহম্মদবাজারে।

[আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে দুঃসংবাদ, প্রবল তুষারঝড়ে উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু বাংলার পর্বতারোহীর]

দেউচা-পাঁচামি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম সিঙ্গুরের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ”সিঙ্গুরের সঙ্গে দেউচা-পাঁচামির এটাই পার্থক্য। জোর করে কারও থেকে জমি নয় বরং সুবিধাজনক প্যাকেজ দিয়ে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের থেকেই জমি নিয়ে শিল্প তৈরি হচ্ছে এখানে। আর সিঙ্গুরে জোর করে চাষিদের থেকে জমি কাড়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারই প্রতিবাদ করেছিলেন।”   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার