দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: আইএসএফ (ISF) বিধায়ক তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) টানা ৪২ দিন জেলবন্দি থাকার পর দিন দুই আগেই মুক্ত হয়ে ফিরেছেন নিজের এলাকায়। আর তারপরই আচমকা বদল ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদে। এখানকার চেয়ারম্যান পদে এতদিন ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কিন্তু একাধিক ব্যস্ততার কথা জানিয়ে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন তিনি। তাঁর বদলে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সপ্তগ্রামের বিধায়ক (TMC MLA) তপন দাশগুপ্তকে দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi Byelection) তৃণমূলের হার হওয়ার পর দলের উদ্দেশে সাবধানবাণী দিয়েছিলেন হুগলির ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি। সংখ্যালঘু এলাকায় সংখ্যালঘু প্রার্থী দেওয়া উচিত বলে তিনি নিজের মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এও বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের (TMC) আরও সাবধান না হলে ভবিষ্যতে গোটা বাংলাই সাগরদিঘি হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কাপ্রকাশ করেন ত্বহা সিদ্দিকি। নওশাদের দাদা আব্বাস সিদ্দিকি রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের উদ্দেশে। এসবের পরই ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন বোর্ডে বদল।
[আরও পড়ুন: রাঙিয়ে দিয়ে যাও…, শোভন-বৈশাখীর জীবনে বসন্ত, চুমুক ঠান্ডাইয়েও, দেখুন ছবি]
যদিও এই বদলের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি নতুন চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্তর (Tapan Dasgupta)। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ফোন করেন। জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তপন দাশগুপ্তকে এবার ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: দোলে শান্তিনিকেতনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, আবেগঘন জনতার স্লোগান ‘আপনি ভগবান’]
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার ফুরফুরা শরিফে গিয়ে পীরজাদাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন সপ্তগ্রামের বিধায়ক। সেখানে আরও কীভাবে উন্নয়ন করা যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন। এরপর তা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রীদের। এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ওয়াকিবহাল মহলের মত, ত্বহা সিদ্দিকির সাবধানবাণীর পর আরও সতর্ক তৃণমূল। সাগরদিঘির হারের পর সংখ্যালঘু উন্নয়নে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।