স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলপ্রেমী মানুষজন উইকএন্ডে কম খরচে নির্জন নিরালায় কাটাতে চলে আসেন ঝাড়গ্রামে। ঘুরতে এসে পর্যটকরা যাতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পারেন সে জন্য হোমস্টে, হোটেল লজ, ফাস্ট ফুডের মালিকদের নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে দেওয়া হচ্ছে ফুড সেফটি প্রশিক্ষণ। খাদ্যের মান খতিয়ে দেখতে বুধবার থেকে এই প্রশিক্ষণ। এরপর খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত একটি গাড়ি। এই গাড়ির মধ্যে রয়েছে বিশেষ ল্যাব। এই ল্যাব যুক্ত গাড়িটি বিভিন্ন হোমস্টে, হোটেল, লজ, খাবারের দোকানগুলিতে গিয়ে খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করবে। সারপ্রাইজ ভিজিট যেমন হবে তেমনই অভিযোগের ভিত্তিতেও যাবে ওই গাড়ি খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই একই ল্যাব গাড়ির মাধ্যমে খাদ্য পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রামে পর্যটনের বিকাশ দেখে এবং পর্যটকরা যাতে উন্নত মানের খাবার পান সেই জন্য ৬ ডিসেম্বর জেলার প্রশাসনের উদ্যেগে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক, সভাধিপতি-সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। সেখানে ঠিক হয় হোটেল, লজ, হোমস্টে, মিষ্টির দোকান, যেকোনও খাবারের দোকান, মেডিক্যাল কলেজ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং আবাসিক স্কুলগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তা যাতে সুনিশ্চিত থাকে সেই জন্য খাদ্যের মান পরীক্ষা হবে। সঙ্গে কীভাবে খাদ্যের মান বজায় রাখতে হয় সেই জন্য হোটেল, লজ, মালিকদের ফুড সেফটি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই বৈঠকের পর বুধবার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫০ জন হোটেল, লজ, হোমস্টে মালিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর গোপীবল্লভপুরে আবারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট হোমস্টে রয়েছে ১০২টি, হোটেল, লজ, রিসর্ট রয়েছে ১৭০ থেকে ১৭২টি। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম ব্লক ও শহর কেন্দ্রিক হোটেল, লজ রয়েছে ৬৫ থেকে ৭০টি। এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, "ফুড সেফটি নিয়ে হোটেল, লজ, হোমস্টে মালিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ হয়েছে প্রথম পর্যায়ে। আবারও হবে। আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত ল্যাব গাড়ি কয়েকদিনের মধ্যেই ফুড টেস্টিং শুরু করবে অন স্পট গিয়ে। অভিযোগ থাকলেও করা হবে।"