দেব গোস্বামী, বোলপুর: তিনি প্রাক্তন। গত ৮ নভেম্বর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারি বাসভবন ছাড়েননি বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ব্যবহার করছেন সমস্ত সরকারি সুবিধা। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এখনও রয়েছেন ‘পূর্বিতা’য়। ব্যবহার করছেন উপাচার্যের সমস্ত সুযোগ সুবিধাও। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাক্তন উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়মিত বৈঠক এবং দেখা করতে যাওয়ায় তাপ বাড়ছে শান্তিনিকেতনে। যদি এপ্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। কিছু বলেননি বিদ্যুৎবাবু নিজেও।
সোমবার প্রাক্তন উপাচার্যের এমন নজিরবিহীন আচরণে প্রতিবাদ জানান বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। ভাতৃদ্বিতীয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন থেকে শুরু করে সবকিছুই স্বাভাবিক হওয়ার কথা রয়েছে। এর মাঝেই ফের বিশৃঙ্খলার গন্ধ পাচ্ছেন সকলেই। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, প্রাক্তন উপাচার্য পায়ে পা লাগিয়ে মেয়াদ শেষ হবার পরও বিবাদ লাগানোর চেষ্টা করছেন কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে। তাঁদের সঙ্গেই পূর্বিতায় বৈঠক ও দেখা করা চলছে নিয়মিত। অধ্যাপক সংগঠন অবশ্য পূর্বেই প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ কেন সরকারি বাংলোয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বর্তমান উপাচার্যকে ইমেলে অভিযোগ করেছেন।
[আরও পড়ুন: মা কালীর পাশেই দুর্গার আরাধনা, ভাইফোঁটার পর একসঙ্গে হয় দুই দেবীর বিসর্জন]
অধ্যাপক সংগঠনের দাবি, ‘‘বিশ্বভারতীর ১০ জনের অধিক নিরাপত্তারক্ষী থেকে সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রাক্তন উপাচার্য নিয়ে চলছেন। যা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন এবং বেআইনি দখলদারি।’’ সম্প্রতি পাঁচটি মামলায় উপাচার্যকে তলব করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন গ্রেপ্তারির মত কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। শুধু এক একটি মামলার জন্য এক ঘণ্টা করে প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ। ১৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ এবং ২২ নভেম্বর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারবে পুলিশ এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়।এই যুক্তি দিয়েই বাসভবনে বেশ কিছুদিন প্রাক্তন উপাচার্য থাকবেন বলেই শোনা যাচ্ছে।