শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: বেপরোয়া লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্তত চারজনের। বুধবার গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরের(North Dinajpur) করণদিঘির টুঙ্গিদিঘি বাসষ্ট্যান্ড এলাকার ১২ নম্বর (পুরনো ৩৪ নম্বর) জাতীয় সড়ক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভুট্টা বোঝাই লরি পর পর দুটি চলন্ত গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে উলটে যায়। তাতে সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ২২ জন। তার মধ্যে গুরুতর জখম পাঁচজনকে লরির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিদের করণদিঘি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখমের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ভুট্টা ভর্তি লরিটি দ্রুত গতিতে রায়গঞ্জের দিকে আসছিল। টুঙ্গিদিঘি পৌঁছতেই বেপরোয়া গতিতে প্রথমে যাত্রীবোঝাই একটি পিক আপ ভ্যানকে ধাক্কা মারে। পিক আপ ভ্যান উলটে জখম হয় যাত্রীরা। তার পর সামনের স্কপিয় গাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা দিয়ে আঠারো চাকার লরিটি ভিড় জাতীয় সড়কের হুড়মুড়িয়ে উলটে গিয়ে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের সামনে বাস ধরার জন্য অপেক্ষারত অনেকেই জখম হন। এক সাইকেল আরোহী রাস্তা পার হতে গিয়ে লরির ধাক্কায় রাস্তায় লুটিয়ে মারাত্মক জখম হন।
[আরও পড়ুন: দিল্লির জল বোর্ডের দুর্নীতির টাকা যেত আপের নির্বাচনী তহবিলে, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির]
মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মহম্মদ মহিবুল হল (২৭)। প্রদীপ সিংহ (২৬) নামে আরও একজনেরও মৃত্যু হয়েছে। বাকি মৃতদের নাম এখনও জানা যায়নি। মৃতরা স্থানীয় বাসিন্দা বলেই মনে করা হচ্ছে। জখম হরিপদ মণ্ডল, ইন্দ্রজিৎ পাল, সন্তোষ শর্মা, রক্তিম সরকার- সহ আরও অনেকেই ভর্তি হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই স্বজনদের খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে।
বিশাল পুলিশ বাহিনী-সহ দমকল বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবিলার প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। লরির নিচ থেকে পর পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কয়েকশো লোকজনের ভিড়ে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আকতার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। লরিকে উদ্ধারের জন্য ক্রেনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।” এদিকে, হরিণঘাটায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত এক। আহত ৪ জন।