রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও দিব্যেন্দু মজুমদার: প্রায় আড়াই বছর পর অবশেষে খুলতে চলেছে হুগলির গোন্দলপাড়া জুট মিল (Gondalpara Jute Mill)। বৃহস্পতিবার সকালে এই সুখবর পেলেন শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায়, রাজ্যের উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর মিল খোলায় খুশি শ্রমিকরা। যদিও হুগলির সাংসদের দাবি, তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে কারখানা খোলার ব্যবস্থা করেছেন। স্থানীয় সিটু নেতা রতন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “এই জয় শ্রমিকদের। এই জয় সবার। সবাই মিলটি খোলার জন্য লড়াই করেছিলাম।” আইএনটিটিইউসির এক নেতার গলাতেও একই সুর। এই জয় সবার, দাবি তাঁরও।
একাধিক সমস্যার কারণে প্রায় আড়াই বছর আগে বন্ধ হয়ে যায় হুগলির গোন্দলপাড়া জুটমিল। কর্মহীন হয়ে পড়েন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিক। চরম সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। উপার্জনের আশায় অনেকেই বাংলা ছেড়ে চলে যান ভিনরাজ্যে। এক শ্রমিক আত্মঘাতীও হন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যের তরফে একাধিকবার মিল খোলার চেষ্টা করলেও আদতে ফল মিলছিল না। আদৌ কোনওদিন সমাধান সূত্র মিলবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার মিল নিয়ে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করা হয়। সেখানেই মিল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ১ লা নভেম্বর পুনরায় খুলছে কারখানা।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর দোরগোড়ায় চোখ রাঙাচ্ছে রাজ্যের করোনা গ্রাফ, আক্রান্ত পেরল ৩ লক্ষ]
যদিও মিল খোলার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুগলির বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, “তৃণমূল অনেক চেষ্টা করেছে জুট মিল যাতে বন্ধই থাকে। অনেক লড়াইয়ের পর অবশেষে কারখানা খুলতে পেরেছি আমরা। হুগলির জুটের তৈরি ব্যাগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। কেউ যদি এটাকে আটকানোর চেষ্টা করে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে।” পাশপাশি, মিল খোলার জন্য এদিন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাংলার যুব সমাজকে আশ্বাস দিয়েছেন, আগামীতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থানের জোয়ার আসবে বাংলায়।