অর্ণব আইচ: ভারতীয় নৌসেনাকে শক্তিশালী করতে বড় পদক্ষেপ গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের। এবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি বাড়াতে চারটি নজরদারি জাহাজের বরাত পেয়েছে গার্ডেনরিচ। আজ মঙ্গলবার দুটি জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যেই এদিন গার্ডেনরিচে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এর আগে বেশ কয়েকটি নজরদারি জাহাজ (অফশোর পেট্রল ভেসেল) তৈরি করে নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যেগুলো দিয়ে চলছে 'শত্রু' পক্ষের উপর কড়া নজরদারি। চিনের দাদাগিরি রুখতে এখানেই তৈরি হয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী। এবার 'নিউ জেনারেশন অফশোর পেট্রল ভেসেল' তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে এই জাহাজ নির্মাণ সংস্থা। নতুন এই নজরদারি যুদ্ধজাহাজের বৈশিষ্ট কী?
জানা গিয়েছে, পুরনো জাহাজগুলোর তুলনায় নতুন প্রজন্মের এই অত্যাধুনিক রণতরী আকারে বেশ কয়েকগুণ বড়। যেকোনও আঘাত প্রতিহত করতে এর সহনশীলতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। পাশাপাশি জাহাজের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাকেও বিশেষভাবে উন্নত করা হচ্ছে। জাহাজের পাটাতনগুলো প্রায় ১১৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১৪.৬ মিটার চওড়া হবে। গতিবেগ ঘণ্টায় ২৩ নট। এছাড়া জাহাজগুলোতে ২৪ জন অফিসার-সহ ১০০ জনের বেশি নাবিক থাকার বন্দোবস্তও করা হচ্ছে। থাকছে নয়া প্রযুক্তির কন্ট্রোল সিস্টেম। এছাড়া বিপর্যয় মোকাবিলা, অনুপ্রবেশ আটকানো, জলদস্যুদের দমনের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে নামানো হবে নতুন প্রজন্মের নজরদারি জাহাজগুলোকে। পাশাপাশি উপকূলে অতন্দ্রপ্রহরীর কাজ করবে তারা।
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে এভাবেই একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়েছে গার্ডেনরিচ। এনিয়ে গার্ডেনরিচের সিএমডি পি আর হরি বলেন,"বর্তমানে আমরা ৪৩টি জাহাজ নির্মাণ করছি। এর মধ্যে রয়েছে রণতরী, গবেষণা জাহাজ-সহ আরও বেশ কয়েকটি। বর্তমান বরাতগুলোর কথা মাথায় রেখেছে আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বাসী।" উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চ মাসে জোড়া সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করে গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। ‘আইএনএস অগ্রয়’ এবং ‘আইএনএস অক্ষয়’ হাতে পায় নৌসেনা।