গোবিন্দ রায় ও শান্তনু কর: এখনই পাহাড়ের চাকরি বাতিল নয়। কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ আজ, বুধবার এই নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বছর শেষের আগে কিছুটা স্বস্তি পেলেন জিটিএ-র (GTA) ৩১৩ জন শিক্ষক। পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। চলতি মাসেই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ সেই মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। পরবর্তীতে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন শিক্ষকরা।
কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই বিচাপতিরা সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, এই শিক্ষকরা দীর্ঘদিন চাকরি করছেন। সিঙ্গেল বেঞ্চ এই বিষয়টি ভেবে দেখেননি। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবং অন্যান্য কারণের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। এই বিষয়টিও বিবেচনা করেনি সিঙ্গেল বেঞ্চ। তারপরই সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আপাতত, ১২ সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে বলে খবর। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও মামলাকারীদের হলফনামা পেশের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ে জিটিএ নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে থাকা স্কুলগুলিতে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই একতরফাভাবে এই নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এহেন অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্যায়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সেই রায়কেই বহাল রাখে। অর্থাৎ সিআইডি তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে আদালত। এই সংক্রান্ত মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। যদিও পরবর্তী সময়ে এই মামলা ফের ফিরে আসে কলকাতা হাই কোর্টে।
