নিরুফা খাতুন: বাড়ি থেকে বেরলে আপাতত ক’দিন ছাতা সঙ্গে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ আজ, বুধবার এবং আগামী কাল দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে বলেই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর (Alipore Weather Office)। একই সঙ্গে উপকূলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গেও।

বুধবার হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। আজ এবং আগামী কাল উপকূলের জেলাগুলিতে ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আজ দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। কলকাতাতেও এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। দুই দিনে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এদিন সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৬ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৭১ থেকে ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ২২.৬ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু: ডিন অফ স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে লালবাজারে তলব]
এদিকে উত্তরের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ১৭ থেকে ১৯ আগস্ট বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে। রবিবার ফের তা বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখাটি গোরখপুর ও পাটনা থেকে কোচবিহার হয়ে পূর্ব দিকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত আপাতত বিস্তৃত। দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর তৈরি হয়েছে আরও একটি ঘুর্ণাবর্ত। দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে এটি সরছে। যার জেরেই বৃষ্টিপাত।