রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সৈকত নগরী দিঘায় (Digha) হোটেলর আড়ালে বেআইনিভাবে দেহব্যবসার অভিযোগ। তল্লাশি চালিয়ে হোটেলের ম্যানেজার-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিনজন যুবতী। বাকি অভিযুক্ত ও ওই বাড়ির মালিক খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, তীব্র গরম থেকে সামান্য রেহাই মিলতে দিঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে এবং তাতেই বেআইনি দেহব্যবসার (Flesh Trade) রমরমা শুরু হয়েছে।
দিঘা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ৩ যুবক ও তিন যুবতী। ধৃত কাঁথি থানা এলাকার সৌমেন পাত্র ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মনিরুল মোল্লা। অপরদিকে, দিঘা মোহনা থানার পুলিশ হোটেলের ম্যানেজার ওড়িশার (Odissa) বালেশ্বর এলাকার দিলীপ কুমার প্রধান ও উত্তর ২৪ পরগনা এলাকার সঞ্জয় বান। হোটেল থেকে এক যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের কাঁথি আদালতে পেশ করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে হুমকির অভিযোগ, সুজাতা খাঁ’র আবেদন মেনে মামলা সরল শিয়ালদহ কোর্টে]
সূত্রের খবর, দিঘা থানার ভগীবহ্মপুরে বাড়িতে একটি মধুচক্রের আসর বসিয়েছিল বাড়ির মালিক। এদিকে, পবিত্র ইদ (Eid) উপলক্ষে দিঘা ও দিঘা মোহনা থানা এলাকার পুলিশ তল্লাশি শুরু করেন। সোমবার সন্ধেবেলা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিঘা থানার ভগীব্রহ্মপুর বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ আসার আগাম খবর পেয়ে বাড়ির মালিক সেখান থেকে চম্পট দেয়। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) সোমনাথ সাহা বলেন, “দেহব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে হোটেলের ম্যানেজার-সহ ৬ যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি হোটেলের রেজিস্টার খাতা সিজ করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ইদের সকালে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ফোন মুখ্যমন্ত্রীর, প্রতিশ্রুতি দিলেন নিয়োগের]
অনেকের ধারণা, সারাবছর দিঘায় পর্যটকের ভিড় থাকলেও গ্রীষ্মের ছুটি এবার তাড়াতাড়ি পড়ে যাওয়ায় এবং গত দু’একদিন ধরে আরামদায়ক আবহাওয়ার কারণে ভিড় এবার একটু বেশিই। আর সেই সুযোগেই পর্যটকের ভিড়ে মিশে দেহব্যবসা ফের ঘাঁট গেড়ে বসেছে। তবে পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। তাই আশঙ্কার বিশেষ কারণ নেই।