অর্ক দে, বর্ধমান: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বর্ধমানের (Burdwan)খণ্ডঘোষ এলাকা। অভিযুক্ত শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি পুলিশের উপরও হামলার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ১০ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককেও গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনা ঘিরে একেবারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় আমড়াল গ্রামে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, ইট ছোড়াছুড়ির মতো অশান্তি ঘটে।
খণ্ডঘোষ (Khandaghosh) থানা এলাকার আমড়াল গ্রামের আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষক মহাদেব কুণ্ডু গত কয়েকদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা (Harrassment) করেন। ছাত্রী বাড়ি গিয়ে সেকথা অভিভাবকদের জানায়। বৃহস্পতিবার গ্রামের প্রতিবেশীদের জড়ো করে স্কুলে পৌঁছে যান অভিভাবকরা। অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলের ভিতর থেকে বাইরে বের করে এনে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। প্রহৃত শিক্ষককে উদ্ধার করলেও গ্রামবাসীরা তাঁকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ফের মারধর করতে থাকে! সেইসঙ্গে আক্রান্ত হয় পুলিশও (Police)।
[আরও পড়ুন: দ্রাবিড় নন, মেন্টরের ভূমিকায় গম্ভীরের বদলে প্রাক্তন নাইটকেই পছন্দ কেকেআরের!]
অভিযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীরা। ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িও হয়। এই ঘটনায় ১০ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আইনরক্ষকদের যুক্তি, এই গ্রামবাসীদের ছেড়ে দেওয়া হলে এলাকায় ফের অশান্তি তৈরি করবে, তাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এদিকে ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা নিয়ে কোনও অভিভাবক অভিযোগ করেননি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার (Arrest) করা হয়েছে। তাকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে।