সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুরে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্বাভাবিকভাবেই এদিন সকালে জেলার নেতারা পৌঁছেছেন সভাস্থলে। ছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও (Humayun Kabir)। আচমকাই ছন্দপতন। তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক করে হুমায়ুনকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করে। খবর পাওয়ামাত্রই সভাস্থল ছাড়লেন হুমায়ুন। তিনি সাফ জানালেন, শুক্রবার অথবা সোমবারই ইস্তফা দেবেন তিনি। চলতি মাসের ২২ তারিখ ঘোষণা করবেন নিজের দল। হুমায়ুন বুঝিয়ে দিলেন, দলের কড়া পদক্ষেপের পরও বাবরি মসজিদ নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে নড়তে নারাজ তিনি।
দলবিরোধী মন্তব্য করে বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তৃণমূলের তরফে তাঁকে একাধিকবার সতর্কও করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাঁর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি সংক্রান্ত মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয়। তার জেরেই এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল দল। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই হুমায়ুনকে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করেন তিনি। সভাস্থলে থাকাকালীন দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানামাত্রই একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন হুমায়ুন কবীর। প্রথমে তিনি জানান, বিধায়ক হিসেবে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সভাস্থল ছাড়েন তিনি।
এরপরই হুমায়ুন জানান, আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার অথবা সোমবার ইস্তফা দেবেন তিনি। চলতি মাসের ২২ তারিখ নতুন দল ঘোষণা করবেন। শুধু তাই নয়, একশোর বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথাও শোনা তাঁর মুখে। হুমায়ুনের কথায়, "তোলাবাজ-সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দল তৈরি করব। বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ হবেই। নির্ধারিত দিনেই শিলান্যাস হবে। কারও ক্ষমতা থাকলে রুখে দেখাক।" এরপরই তাঁকে হেনস্তা, এমনকী খুন করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, "নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হলে হাই কোর্টে যাব।"
