শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ধর্মতলার সমাবেশ মঞ্চ মূল কেন্দ্র হলেও তৃণমূলের (TMC) শহিদ দিবস পালিত হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই। করোনা কালের ২ বছর কাটিয়ে এবার প্রকাশ্যে সমাবেশ নিয়ে উন্মাদনা তাই তুঙ্গে। সেই আবেগে ভেসে এবার স্কুলের মধ্যেই শহিদ দিবস (Shahid Diwas) পালন করা হল। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের সন্তোষ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই ঘটনায় স্বভাবতই বিতর্কের ঝড়।
এদিন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মকসেদ আলমের নেতৃত্বে ‘তৃণমূল সাপোর্টারস কমিউনিটি’ নামে একটি সংগঠন শহিদ দিবস অনুষ্ঠান পালন করে। অভিযোগ, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেননি তৃণমূল নেতারা। তাঁরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে স্কুল চত্তরে শহিদ দিবস পালন করেছে। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়। এদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশের ফেসবুক লাইভ দেখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী! ভাইরাল ছবি ঘিরে শোরগোল]
শহিদ দিবসের জেরে বৃহস্পতিবার স্কুলে (School)পঠনপাঠন কার্যত বন্ধ ছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীন শহিদ তর্পণ মঞ্চের আশেপাশে পড়ুয়াদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মকসেদ আলম বলেন, ”এই স্কুলে এই নিয়ে তিন বছর ধরে আমরা শহিদ তর্পণ করে আসছি। আসলে সবার পক্ষে কলকাতা যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই স্থানীয় কর্মীদের অনুরোধে আমরা এখানেই শহিদ দিবস পালন করলাম।” স্কুলে তৃণমূলের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক উঠতেই বিজেপির সহ-সভাপতি শ্যাম প্রসাদ বলেন, ”শহিদ দিবস অনুষ্ঠানটি কংগ্রেসের। কিন্তু এই অনুষ্ঠান তৃণমূল হাইজ্যাক করে নিয়েছে। তৃণমূল দলের অভিধানে না বলে কিছু নেই। এরা কোনও আইন কানুন মানে না। তাই এদের পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব। এরা শিক্ষা-রাজনীতি সবটাকে একসঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: একুশের মঞ্চে মমতাকে বস্তাভরতি মুড়ি এগিয়ে দিয়ে রাতারাতি ‘হিরো’ বর্ধমানের যুবক]
নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝাঁ বলেন, ”কার্যত স্কুল ছুটি দিয়ে স্কুল চত্তরে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এই জাতীয় অনুষ্ঠান করতে গেলে স্কুল ছুটি থাকা কালীন ডিআই কিংবা চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে কোনও স্কুলে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করা যায়। আমরা বিষয়টি ডিআই-এর কাছে লিখিতভাবে জানতে চাইব।” ডিআই প্রাইমারি শ্যামলচন্দ্র রায় জানান, বিষয়টি তাঁর সম্পূর্ণ অজানা। খোঁজ নিয়ে দেখবেন।