shono
Advertisement

Tapan Kandu Murder Case: কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও।
Posted: 08:37 AM Apr 06, 2022Updated: 10:13 AM Apr 06, 2022

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বুধবার সকালে নিজের ঘর থেকে শেফাল বৈষ্ণব ওরফে নিরঞ্জন নামে ওই প্রত্যক্ষদর্শীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও।

Advertisement

গত ১৩ মার্চ বিকেলে ঝালদা-বাঘমুন্ডি সড়কপথে গোকুলনগর গ্রামের কাছে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) তপন কান্দু। সেই সময় আততায়ীদের গুলিতে খুন হন তিনি। কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে ছিলেন যাদব রজক, শেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণব, সুভাষ কর্মকার, প্রদীপ চৌরাশিয়া ও সুভাষ গড়াই নামে পাঁচ সঙ্গী। তাঁরা খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। বুধবার সকালে নিজের ঘর থেকে শেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধার হয়। ঝালদার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। শেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঘর থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে।

[আরও পড়ুন: এপ্রিলেই হাজার কোটি টাকা ছাড়াচ্ছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণের অঙ্ক, উপকৃত বহু পড়ুয়া]

উদ্ধার হওয়া ওই সুইসাইড নোটে (Suicide Note) নিরঞ্জন ওরফে শেফাল লেখেন, “যেদিন তপনের হত্যা (Tapan Kandu Murder Case) হয় সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি মাথা থেকে কোনওরকম বার হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু ওই ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বারবার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এই সব আমি আর সহ্য করতে না পারার জন্য আমি এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম।” 

যদিও জেলা পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন জানান, তাঁকে তদন্তের জন্য থানায় ডাকা হচ্ছিল। এই ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের দাবি, পুলিশই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন। তাঁর মতে, “পরিচিত কেউ খুন হলে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ থানায় ডেকে পাঠাবে সেটাই স্বাভাবিক। সে কারণেই বারবার শেফালকেও থানায় ডাকা হয়েছে।” এদিকে, পুরবোর্ড গঠনের দিন ঝালদা পুরভবনের পাশে কালা দিবস পালনে বাধা দেয় পুলিশ। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাকে পুলিশ হেনস্তা করে বলেও অভিযোগ। তার প্রতিবাদে বুধবার ঝালদা পুরশহরে সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি সিবিআইয়েরও এদিন ঝালদায় যাওয়ার কথা। ঝাড়খণ্ড সীমান্তের ঝালদার তুলিনের একটি হোটেলে সিবিআই ক্যাম্প অফিস তৈরি করবে। সেখানে থেকে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (CBI)।

[আরও পড়ুন: ভিনধর্মের বিয়ে মানেনি কোনও পরিবারই, সৌহার্দ্য আনল ‘রমজান’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার