অভিষেক চৌধুরী, কালনা: শিল্পীর শৈল্পিক কারুকার্যে, অবহেলায় ফেলে দেওয়া জিনিস হয়ে উঠছে 'মহার্ঘ'! শুধু তাই নয়, 'দেবী সরস্বতীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা' পাচ্ছে সেই সব অবহেলিত দ্রব্যেই। এমনই দুই শৈল্পিক নিদর্শনের ছোঁয়া দেখা গেল কালনায় ও পূর্বস্থলীতে। ফেলে দেওয়া লোহার যন্ত্রাংশ-সহ তামা, পিতল সহযোগে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কালনার তরুণ শিল্পী অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কালনা শহরের স্পুটনিক ৭০-এর পুজো মণ্ডপে তিনি যে প্রতিমা তৈরি করছেন সেখানে ফেলে দেওয়া সাইকেলের চেন, বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। এর আগেও এই শিল্পী পয়সা, ব্লেডের, কচুরিপানার মত বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে প্রতিমা তৈরি করে সকলের নজর কাড়েন। শিল্পী রাজু বাগ বলেন, "স্পুটনিক ৭০ ক্লাবের দেবীপ্রতিমার সিংহাসন তৈরি হচ্ছে সাইকেলের চেন, চাষের যন্ত্রাংশ দিয়ে। দেবীমূর্তি ও হাঁস তৈরি হচ্ছে যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই মূর্তি তৈরিতে প্রায় দুমাস সময় লাগছে। কেরলের কথাকলি নাচের থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিমায় বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্রের আনুষঙ্গিক ব্যাকগ্রাউণ্ড থাকছে।"
ভাঙাচোরা, ফেলে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ দিয়ে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করছেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বড়কোবলার আর এক তরুণ শিল্পী রাজু বাগ। এই মূর্তিটি তৈরি করতে প্রায় ১ মাস সময় অতিক্রান্ত বলে জানান তিনি। রাজু বলেন, "ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ দিয়ে এই প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। যন্ত্রাংশের দেবীতেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা পাবে। আমার ছোটবেলার স্কুল বিদ্যানগর গয়ারাম দাস বিদ্যামন্দিরে এই প্রতিমার পুজো করা হবে।"