shono
Advertisement
Kidney Racket

কিডনি বিক্রিতেও 'চেন সিস্টেম', তৈরি লম্বা তালিকা! পাচার চক্রে হাতে এল আরও তথ্য

সহজে সুদ দিতে বস্‌তি এলাকার বাসিন্দাদের টার্গেট করা হয়েছিল।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 08:16 PM Apr 05, 2025Updated: 08:17 PM Apr 05, 2025

অর্ণব দাস, বারাসত: যত সময় যাচ্ছে, কিডনি পাচার চক্রের নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। যার বেশিরভাগই অত্যন্ত চমকপ্রদ। হয়ত এই চক্র ধরা না পড়লে আরও কত যে কিডনি পাচার হয়ে যেত, তা জানা নেই। সম্প্রতি অশোকনগর এলাকার তিনজন কিডনি দিতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এমনটা মনে করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, আবেদনকারীদের মধ্যে আবার দু, একজনের গ্রহীতা ভিন রাজ্যের। ধৃত বিকাশ ঘোষ ওরফে সুদখোর শীতল, পান্ডা গুরুপদ জানা ওরফে অমিত-সহ মোট পাঁচজন গ্রেপ্তার হওয়ার সময়কালেই তাঁরা আইনি স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এই আবেদন করেছিল। তাই এই তিনজনকেও বিশেষ নজরে রেখেছে পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীদের অনুমান, পুলিশ ভেরিফিকেশন-সহ জেলাস্তরে যে শুনানি হবে, সেখানেই তিনজনের থেকে সূত্র মিলবে। কিডনিদাতারা অন্যদের কিডনি দেওয়ার জন্য নিজেদেরকেই উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরত, বিনিময়ে শীতলের থেকে ৪০-৫০হাজার টাকা পেত। তাই এক্ষেত্রেও কিডনি বিক্রি করে দেওয়া এমন কোনও দাতার সঙ্গে আবেদনকারীর যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের আরও অনুমান, শীতলের সুদের জালে জড়িয়ে আগামী কয়েকমাসে কিডনি বিক্রির লম্বা তালিকাও তৈরি হয়ে থাকতে পারে বলেও অনুমান তদন্তকারীদের। আবেদনকারীদের সূত্র ধরেই এমন নাম জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সুদের জালে জড়াতে মূলত বস্‌তি এলাকার বাসিন্দাদের টার্গেট করত শীতলের মত সুদখোররা। সুদে টাকা ধার নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পারলে চাপ দিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করানো যেত সহজে। একজন কিডনি বিক্রি করে ৪-৫ লক্ষ টাকা পেয়ে টোটো, ভ্যান কিনে বা গুমটি দোকান চালু করতেন। তখনই অন্যান্য বসতিবাসীর নজরে আসত তা। প্রথমে সুদের টাকা ধারে নিয়ে ব্যবসা করছে জানালে অন্যান্যরাও সহজে সুদ পেতে হাত পাতত শীতলের কাছে। এভাবেই 'চেন সিস্টেমে' কিডনি বিক্রির জন্য একের পর এক দাতা সহজেই তৈরি হয়ে যেত।

অশোকনগরের নির্দিষ্ট একটি এলাকা কল্যাণগড়েই কমবেশি ২০ জন কিডনি বিক্রি করেছিল বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। ক্যানিংয়ের রিভারবেল্ট-সহ উত্তর দিনাজপুরেও এমন এলাকার খোঁজ মিলেছে। দীর্ঘ বছর ধরে সহজে, তুলনামূলক কম দামে কলকাতা লাগোয়া এই এলাকাগুলি থেকে কিডনি বিক্রি খবর ছিল কালো বাজারে ছিল। সেই কারণেই ভিন রাজ্যে থেকে নেফ্রোলজির চিকিৎসার জন্য কলকাতায় দিন ভিড় বাড়ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কিডনি পাচার চক্রে আরও তথ্য হাতে এল তদন্ততকারীদের।
  • 'চেন সিস্টেমে' কিডনি পাচার, তৈরি তালিকাও।
  • সহজে সুদ দিতে বস্‌তি এলাকার বাসিন্দাদের টার্গেট করা হয়েছিল।
Advertisement