অরূপ বসাক, মালবাজার: সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো ছিলই না। উলটে ভোটের পর শাসকদলের যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরে দু’জন জয়ী প্রার্থী। কিন্তু, শেষপর্যন্ত পঞ্চায়েত বোর্ড গড়ল কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির মহাজোট। এলাকায় বিজয় মিছিলও করল বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজারে মেটেলি ব্লকে।
[মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের কর্মী সেজে বনদপ্তরে তাণ্ডব, শ্রীঘরে ‘প্রতারক’]
মালবাজারের মেটেলি ব্লকে ইনডং মাটিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৮। ৭টি আসন জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৫ আসনে। কংগ্রেস ৪টি ও সিপিএম ২টি আসন পেয়েছিল। এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রয়োজন ছিল ১০টি আসনের। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তিনটি আসন কম ছিল তৃণমূলের। এই পরিস্থিতেতে দল বদলান বিজেপি ও কংগ্রেসে টিকিটে জেতা দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা যোগ দেন শাসকদলে। ফলে ইনডং মাটিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসে আসন বেড়ে হয় ৯টি। অন্যদিকে একটি আসন কমে যায় কংগ্রেস ও বিজেপি। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হল না।
বৃহস্পতিবার ছিল ইনডং মাটিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। সংখ্যা নিরিখে শাসকদলের প্রধান ও উপপ্রধান পদপ্রার্থীর জয় ছিল নিশ্চিত। কিন্তু, তেমনটা হয়নি। দুটি পদেই শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরের প্রার্থী ৯টি করে ভোট পান। অর্থাৎ টাই হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত টসে জিতে পঞ্চায়েত প্রধান হন বিজেপির রাধিকা ওঁরাও আর উপপ্রধান কংগ্রেসের সিনু মুন্ডা। ইনডং মাটিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখলের পর এলাকায় বিজয় মিছিলও করেন বিরোধী শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। যদিও জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জোসেফ মুন্ডা বলেন, মানুষ উন্নয়ন চাই। কয়েকদিন পরেই বিরোধীরা সেটা টের পাবে। পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূলই।
[ মোমোর মৃত্যুফাঁদে বেলডাঙার যুবক, ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
The post টসে বাজিমাত বিরোধীদের, বৃহত্তম দল হয়েও পঞ্চায়েত অধরা তৃণমূলের appeared first on Sangbad Pratidin.
