বাবুল হক, মালদহ: মালদহের তৃণমূল নেতা খুনে ১০ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। এদিকে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ২ অভিযুক্ত। আটক করা হয়েছে একজনকে। শুক্রবার সকালেই তৃণমূল নেতার দেহ পৌঁছেছে বাড়িতে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে গৌতম দেবও।
বৃহস্পতিবার সকালে মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার তাঁর নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন। পাইপ লাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামেন। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে করে আসা চার দুষ্কৃতী কাউন্সিলরকে ধাওয়া করে। গাড়ি থেকে নামামাত্রই কাউন্সিলর দৌড়ে তাঁর কারখানার উলটো দিকে একটি দোকানে দৌড়ে যান। বাঁচার চেষ্টা করেন। দুষ্কৃতীরাও ওই দোকানের ভিতরে ঢুকে যায়। কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় কাউন্সিলররে। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেছেন খোদ এসপিকে। ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয় দুজনকে।
পুলিশের জালে আরও ৩। উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও নম্বর প্লেটবিহীন বাইক। ধৃতদের জেরা করে রহস্যভেদের চেষ্টায় পুলিশ। এদিকে শুক্রবার সকালে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করলেন, ১০ দিন ধরে রেইকির পর হামলা চালানো হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার উপর। সুপারি দেওয়া হয়েছে ১০ টাকা। কিন্তু নেপথ্য কে? কেনই বা হামলা? সেই প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছে পুলিশ।