ইএলএসএস নিয়ে লগ্নিকারীদের অনেকেই আগ্রহী। বিশেষ করে কর-ছাড়ের সুবিধাবলী নিয়ে আলোচনা করতে বসলে বোঝা যায় এর গুরুত্ব। কোন পথে এগোলে মিটবে সমস্যা এবং হবে ভবিষ্যতের নিরিখে আদর্শ লগ্নি, বিস্তারিত জানাচ্ছে টিম সঞ্চয়
নতুন অর্থবর্ষে পড়া আর শুধু সময়ের অপেক্ষা। চালু অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে এসে আগামী বছরের জন্য পরিকল্পনা চালু করাই ভালো, তাই এখন থেকেই এই প্রসঙ্গে সজাগ থাকতে বলছেন সব কর্তৃপক্ষেই। তাই ফিনান্সিয়াল ইয়ার ২০২৫-২৬ মাথায় রেখে, ইনভেস্টরদের কিছু সাধারণ তথ্যের দিকে নজর রাখতে হবে।
১- বছর গড়িয়ে গেলে তবেই আয়কর সম্বন্ধীয় প্ল্যান করবেন না। সে কৌশল অনুযায়ী (বিশেষত যদি আপনি স্যালারিডও হন) এগিয়ে যেতে চান, তার প্রাথমিক পদক্ষেপ নিন এখনই।
২- ট্যাক্স-সংক্রান্ত কার্যকলাপ আপনার পুরো ফিনান্সিয়াল প্ল্যানের অন্যতম প্রধান অংশ। এই চোখেই দেখুন পুরো বিষয়টি।
৩- সঠিক ট্যাক্স প্ল্যানিং ফান্ড– Equity Linked Savings Scheme (ELSS) নিয়ে বিশেষভাবে বলা যেতে পারে –বেছে নিতে হবে। সব দিক বিবেচনা করে, আয়কর ধারার সেকশন ৮০ সি’র আওতায় এসে কীভাবে বিনিয়োগ করবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন।
৪- এককালীন লগ্নি করবেন? না কি সিপ করাই ভালো হবে আপনার পক্ষে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নিতে হবে প্রথমেই। মনে রাখবেন, যা-ই করুন, তিন বছরের জন্য লক-ইন থাকবে আপনার টাকা। এই নিয়ম সব ELSS প্রকল্পের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কোনও ব্যতিক্রম হওয়ার নয়। যাঁরা লাম্পসাম টাকা লগ্নি করতে চান না, তাঁরা যেন বিশেষভাবে এই প্রসঙ্গটি মনে রাখেন।
ELSS: ক্যাপিটাল বাড়ার সহায়ক
ট্যাক্স প্ল্যানিং ফান্ডের একটি বিশেষ ভূমিকার কথা আমরা বহুবার ভুলে যাই। আয়কর বাঁচানোর পন্থা ছাড়াও, এই জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়েলথ ক্রিয়েশনও হতে পারে। বস্তুত, ঠিক তাই-ই হয়ে থাকে কর্মক্ষেত্রে। বেশিরভাগ ELSS একেবারেই অন্য পাঁচটি সাধারণ ডাইভারসিফায়েড ফান্ডের মতোই। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ফান্ড ম্যানেজার একসঙ্গে একগুচ্ছ সেক্টরে লগ্নি করতে পারেন। তাঁর উদ্দেশ্য, ক্যাপিটাল গ্রোথ ত্বরান্বিত করা। তবে হ্যাঁ, লক-ইনের কড়া শর্ত থাকে, ৩৬ মাসের আগে রিডেম্পশন অথবা সুইচ করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বলতে হবে যে সিপের সাহায্যে ELSS করলে রুপি কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের সুবিধা পাওয়া যায়। তাই সীমিত ক্ষমতায় স্বল্প টাকা যিনি প্রতি মাসে লগ্নি করতে চান, তিনি সিপ বেছে নিতে পারেন।
পক্ষপাতহীনভাবে আমরা ফ্র্যাঙ্কলিন টেম্পলটনের ELSS প্রকল্প বেছে নিলাম। শুধুমাত্র দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখবেন। কয়েকটি জরুরি তথ্য :
১- উদ্দেশ্য : ট্যাক্স বেনিফিট দেওয়া, সঙ্গে মিডিয়ম এবং লং টার্মের জন্য ক্যাপিটাল অ্যাপ্রেসিয়েশন।
২- ডাইভারসিফায়েড পোর্টফোলিও, নূন্যতম ৮০% ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়।
৩- সিপের জন্য অন্তত ৫০০ টাকা লাগে। অ্যাডিশনাল পারচেজের জন্যও ৫০০ টাকা চাই।
৪- অন্য সিপের জন্য, এখানেও তিন বছরের লক-ইন থাকে।
৫- অক্টোবর ২০২৪-এর শেষে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় যে গত ১৫ বছরে প্রায় ১৬% রিটার্ন আনতে সক্ষম হয়েছেন ফান্ড ম্যানেজার।
নিচের চার্ট দেখুন