বাবুল হক, মালদহ: বছর খানেক আগে মালদহের (Maldah) রেলকর্মী হনুমান রায় খুনের ঘটনায় দোষী ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের (Lifetime imprisonment) সাজা শোনাল মালদহ জেলা আদালত। বৃহস্পতিবার অ্যাডিশনাল ফার্স্ট কোর্টের বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় এই সাজা ঘোষণা করেন। গত বছর দশমীর রাতে নিজের কোয়ার্টারে খুন হন রেলকর্মী হনুমান রায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে দু’ জনকে গ্রেপ্তার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে সমকামিতার কথা। সম্পর্কের জেরেই তিনি খুন হয়েছেন বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। এরপর সওয়াল-জবাব শেষে আজ ঘোষণা হল শাস্তি।
গত বছর দশমীর রাতে মালদহের ঝলঝলিয়ায় রেল কোয়ার্টারের মধ্যেই উদ্ধার হয় রেলকর্মী হনুমান রায়ের নগ্ন, রক্তাক্ত দেহ। খুন হওয়ার ঠিক চারদিন পরই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। খুনের তদন্তে নেমে পুরাতন মালদহের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোবারক ও জাকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে সমকামিতার গল্প। জানা যায়, মোহম্মদ মোবারকের সঙ্গে সমকামিতার সম্পর্ক ছিল হনুমান রায়ের। সেসব ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল হনুমানকে। মোবাইলের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ১৭ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়। দুই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
[আরও পডুন: মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন পেশ শোভনদেবের, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী খড়দহের TMC প্রার্থী]
বৃহস্পতিবার তাদের সাজা ঘোষণা হয়। এডিজে ফাস্ট কোর্টের বিচারপতি মৌ চট্টোপাধ্যায় দুই যুবকের সশ্রম কারাদণ্ড-সহ যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন। ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও দু’বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃত হনুমান রায়ের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”করোনা কালে এত অল্প সময়ের মধ্যে এই রায় একটি দৃষ্টান্ত।” যদিও এই রায়ে খুশি নন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবার এবং তাদের আইনজীবী সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।