সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভায় 'বন্দে মাতরম' স্লোগান দেওয়া যাবে না! এই নোটিসের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের সভা থেকে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, "কয়েকদিন আগে দেখলাম রাজ্যসভায় নোটিস দিয়েছে বন্দে মাতরম বলা যাবে না। বন্দে মাতরম বাংলার গর্ব। আমাদের জাতীয় স্তোত্র ও জাতীয় সঙ্গীত বাংলার মাটি উপহার দিয়েছে।"
বন্দে মাতরম ও জয় হিন্দ স্লোগান দেওয়া যাবে না। এটি শালীনতা (ডেকোরাম) বিরুদ্ধ! বুলেটিন জারি করে একথা জানিয়েছিল রাজ্যসভা। সরব হয়েছিল তৃণমূল। এবার মুর্শিদাবাদের সভা থেকে মমতা মনে করালেন, বাংলার মাটি স্বাধীনতা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। বাংলার মাটিতে নবজাগরণ হয়েছে। বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, "বন্দে মাতরম গানটা অনেক বড়। যে অংশে দেশাত্মবোধ রয়েছে, সেইটুকু আমার গাই। এটা জাতীয় স্তোত্র।" নাম না করে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা দলের তকমা দিয়ে মমতার হুঁশিয়ারি, "যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার রক্তের হোলি খেলছে, তাদের বলি, দেশ স্বাধীনের সময় রবীন্দ্রনাথ গেয়েছিলেন বাংলার মাটি, বাংলার জল। নজরুল গেয়েছিলেন ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান, এটাই বাংলা। এটাই বাংলার মাহাত্ম্য।" মমতার মুখে ক্ষুদিরামেরও কথা শোনা গিয়েছে।
শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের আচরণবিধি বেঁধে দিতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, অধিবেশনে ‘বন্দে মাতরম’ বা ‘জয়হিন্দ’ ধ্বনি দেওয়া যাবে না। রাজ্যসভার নোটিসে বলা হয়েছে, অধিবেশন চলাকালীন সংসদে বন্দে মাতরম ও জয় হিন্দের মতো স্লোগান দেওয়া যাবে না। এতে প্রতিষ্ঠানের 'গাম্ভীর্য' নষ্ট হয় বলে দাবি করা হয় নোটিসে। কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তির পরেই শুরু হয় বিতর্ক। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই গর্জে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তি সরাসরি বাংলা ও জাতীয় স্তোত্রের উপর আক্রমণ। বাংলার 'আইডেনটিটি' নষ্ট করার চক্রান্ত। এই চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) প্রতিবাদে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো আরও একবার স্পষ্ট করে দেন যে, বিজেপি বাংলা বিরোধী, বাংলাকে পছন্দ করে না।
