অর্ণব আইচ: আনন্দপুরের বাংলাদেশি (Bangladesh) পাচারচক্রে এবার নদিয়া যোগ। শুধু কলকাতা ও বাংলাদেশেই নয়, কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় বসেও জাল নথিপত্র তৈরি করা হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে ২৫ তারিখ গভীর রাতে যাত্রাপুর থেকে বিজয় রায় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো কাগজপত্র। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মূল অভিযুক্ত মাহফিজুর রহমানের সঙ্গে একযোগেই কাজ চালাত বিজয়। তাই এই ঘটনায় তাকেও অন্যতম মূল চক্রী বলে চিহ্নিত করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যাত্রাপুর থেকে ধৃত বিজয় রায়ের বাড়ি থেকে ভুয়ো ভোটার কার্ড, আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তাকে আদালতে পেশ করা হলে আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। নিজের বাড়িতে বসেই সে ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। তার বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বিজয় নিজে বাংলাদেশি। তার সাহায্যে ভুয়ো নথি (Fake Voter cards)বানিয়ে ওপার বাংলা থেকে এপারে বাংলাদেশিদের প্রবেশে সাহায্য করত।
[আরও পডুন: পুরনো শত্রুতা নাকি অন্য কিছু? ইসলামপুরে হোটেল ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে পিটিয়ে ‘খুন’]
চলতি মাসের মধ্যভাগে আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনি থেকে দফায় দফায় মোট ৩৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশ। কলকাতায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারপরই এর নেপথ্যে বড়সড় মানব পাচার (Human Trafficking) চক্র সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অবৈধ পথে ভারতে ঢুকিয়ে বিশ্বের একাধিক দেশে পাচার করা হত বাংলাদেশি নাগরিকদের। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাচারের জন্য কলকাতায় এনে তাদের রাখা হত। এই চক্রের মূল অভিযুক্ত সন্দেহে ধৃত মাহফিজুর দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে পাসপোর্ট, ভিসা, আধার কার্ডের মতো প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে পাচার করত। আর এই জাল নথি তৈরির কাজই করত নদিয়ার (Nadia) বিজয় রায়। রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের ঘটনায় এবার সীমান্তবর্তী জেলা নদিয়ার যোগ পাওয়ায় আরও তৎপরতার সঙ্গে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।