অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিদ্যুৎ বিল আদায়ের নাম করে জালিয়াতি। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ইছাপুরের আনন্দমঠ এলাকার এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে এক লহমায় দেড় লক্ষ টাকার বেশি উধাও। এত টাকা প্রতারণার পর নোয়াপাড়া থানার সাইবাল সেলের (Cyber Cell) দ্বারস্থ হয়েছেন ওই বাসিন্দা। প্রতারিত ব্যক্তির পরিবারের বক্তব্য, যা হারানোর হারিয়েছে। কিন্তু আর যাতে কেউ এভাবে প্রতারিত না হন, তার জন্য তাঁরা সকলকে সতর্ক করতে চান।
বিদ্যুৎ বিল বাকি রয়েছে, এই মর্মে এসএমএস আসে ইছাপুর ৫০২/সি আনন্দমঠের বাসিন্দা কৌশিক চক্রবর্তীর মোবাইল ফোনে। অনেক টাকা বিল বাকি – এই কথা বলা হয় তাঁকে। তা শুনে কৌশিকবাবু মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে (WhatsApp) সেখানে ফোন করেন ফোনটা বিজি টোন আসে। এরপর উলটোদিক থেকে ফোন আসে, জিজ্ঞাসা করা হয়, ”আপনি কি বিদ্যুতের বিল পেমেন্ট করেছেন? যদি করে থাকেন তাহলে সেটা আপডেট করতে হবে ২৫ টাকা জমা দিয়ে তার জন্য আপনি আমাদের দেওয়া একটি অ্যাপ ডাউনলোড করুন।” কথামতো হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া সেই অ্যাপটি (App) ডাউনলোড করেন কৌশিকবাবু এবং সেই অ্যাপের মাধ্যমে ২৫ টাকা পেমেন্ট করতে থাকেন কিন্তু বারবার ‘সিটি ফেলিওর’ দেখায়।
[আরও পড়ুন: নভেম্বরেই মুখোমুখি মোদি ও ঋষি! ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে আশাবাদী দিল্লি]
এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের (Bank Account) বিস্তারিত তিনি ওই অ্যাপে দিয়ে দেন। তারপরেই কয়েকটি ওটিপি আসে তাঁর ফোনে। প্রায় ছয় থেকে সাতবার ওটিপি আসে। এরপর কৌশিকবাবু বুঝতে পারেন, সেটি একটি ‘টিম ভিউয়ার’স অ্যাপ। যেটি ডাউনলোড করলে অপরপ্রান্ত থেকে এ প্রান্তের সবকিছুই দেখা যায় মোবাইল ফোনে। সেখানেই বিপত্তি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে দেড় লক্ষেরও বেশি টাকা উধাও হয়ে যায় কৌশিকবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে। কখনও সাড়ে ২৫ হাজার, কখনও ২৫,৮০০, কখনও আবার ২৫ হাজার। সবমিলিয়ে, ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা খোয়ান তিনি। এরপরF কৌশিক বাবু সাইবার সেলের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ জানান নোয়াপাড়া থানায়।
[আরও পড়ুন: রয়েছেন ভিনরাজ্যে, ইডি’র তলবে দিল্লিতে গরহাজির অনুব্রতকন্যা]
নিজের অজান্তে এতগুলো খুইয়ে ভেঙে পড়েছেন কৌশিক চক্রবর্তীর এবং তার পরিবারের বক্তব্য, তাঁরা যা হারিয়েছেন, সেটা তো হারিয়েছেনই। এরকম চক্রান্তের স্বীকার যাতে আর কেউ না হয়, তার জন্য তিনি সতর্ক করতে চান সকলকে।