রাজা দাস, বালুরঘাট: বাড়িতে তালা মেরে বেপাত্তা স্বামী। সংসার করতে চেয়ে তপন থানার দ্বারস্থ স্ত্রী। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার মাঝিখণ্ডায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তপন থানার মাঝিখন্ড এলাকার ইয়াস কুরুনি ও গঙ্গারামপুর থানার চালুনের বাসিন্দা শারমিন খাতুনের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে চালুনে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন ইয়াস কুরুনি। তবে মাস ছয়েক আগে ওই ব্যক্তি তপনের মাঝিখণ্ডায় নিজের বাড়িতে চলে আসেন স্ত্রীকে নিয়ে। শুক্রবার শারমিন খাতুন বালুরঘাটে এসেছিলেন। পরে বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখেন গেটে তালা লাগানো। এমনকি মোবাইলের সুইচ অফ।
দীর্ঘ কয়েকঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু স্বামী না আসায় রাতে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। শনিবার সকালে ফের শ্বশুরবাড়ি আসেন তিনি। এদিনও একই অবস্থা দেখে বাইরেই অপেক্ষা করেন। তবে স্বামী ছেড়ে চলে গিয়েছে এই সন্দেহে ওই মহিলা এদিন তপন থানার দ্বারস্থ হন।
শারমিন খাতুন জানান, পণ বাবদ তার স্বামী ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। তবে তার বাবা ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি টাকা জোগাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এখন মনে হচ্ছে হাতে পাওয়া পনেরো লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁর স্বামী পালিয়ে গিয়েছে। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে চেয়ে অবশেষে থানায় দ্বারস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর কোনও উপায় ছিল না।