সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দারমণির হোটেলে তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে চারদিন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত স্পষ্ট। কিন্তু ওই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মানতে নারাজ নিহতের পরিবারের লোকজন। তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা আমডাঙা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুরাইয়া পারভিনের দাবি, পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে না। পরিবর্তে অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। সে কারণে খুনকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাই তদন্তকারী পুলিশদের বিরুদ্ধে অনাস্থার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন সদ্য স্বামীহারা উপপ্রধান।
আমডাঙা ব্লকের আধহাঁটা পঞ্চায়েতের কাছারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বছর চৌত্রিশের আবুল নাসার। তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া পারভিন আধহাঁটা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। দুই ছেলে, মেয়ে এবং বাবা মাকে নিয়ে তাঁর সংসার। উপপ্রধান স্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় কাজ করার পাশাপাশি, আবুল জেসিবি মেশিন ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার এক বন্ধুকে নিয়ে সমুদ্র সৈকত মন্দারমণিতে ব্যবসার ১০ লাখ টাকা আনতে গিয়েছিলেন আবুল। এরপরই গত ২১ ডিসেম্বর সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে আমডাঙার বাড়িতে। মন্দারমণির এক হোটেল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই মহিলা এবং এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় পুলিশ তৃণমূল নেতার বান্ধবীকে আটক করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মৃত তৃণমূল নেতার প্রেমিকার। সেই প্রেমিকদের তালিকায় ছিলেন মৃতের ব্যবসায়িক সঙ্গী আতাউরও। অনুমান, তাতেই শুরু হয়েছিল সমস্যা। তার জেরেই উপপ্রধানের স্বামীর রহস্যমৃত্যু বলেই প্রথমে অনুমান করছিলেন তদন্তকারীরা। মৃতের স্ত্রীরও দাবি, খুন করা হয়েছে আবুল নাসারকে। যদিও সম্পর্কের টানাপোড়েনে খুন বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ব্যবসায়িক শত্রুতাতেই স্বামীকে খুন করা হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। আত্মঘাতী হয়েছেন তৃণমূল নেতা বলেই দাবি পুলিশের। যদিও ওই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আবার মানত নারাজ নিহতের স্ত্রী।