অর্ণব দাস, বারাসত: দেগঙ্গার চাকলায় কর্মিসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জেলা কোর কমিটি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। সোমবার সেই কোর কমিটি প্রথম বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোমবার মধ্যমগ্রামে জেলা পার্টি অফিসের প্রথম বৈঠকে দেখা গেল না কোর কমিটির অনেক সদস্যকেই। উপস্থিত ছিলেন না মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, রথীন ঘোষ, বিধানসভার উপমুখ্য সচেতক তাপস রায়, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস।
লোকসভা ভোটের আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিহীন উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) জেলায় দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়তে চাকলার কর্মিসভা থেকে বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই একটি কোর কমিটি (Core Committee) তৈরি করে ১০ দিন অন্তর সভা ডেকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার পরও কোর কমিটির প্রথম বৈঠকের উল্লেখ জেলার উল্লেখযোগ্য এই নেতাদের অনুপস্থিতি ফের অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসকদলে।
[আরও পড়ুন: ‘যোগ্যদের ৬০ বছরেও বিদায় দিই না আমরা’, নবীন-প্রবীণ বিতর্কে বার্তা মমতার]
যদিও এ বিষয়ে সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) জানান, যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের অন্য কাজ আছে বলে জানিয়েছেন। যেমন রথীন ঘোষ অসুস্থ বলে আসতে পারেননি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি আনা উচিত নয়। বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষকে কোর কমিটির চেয়ারম্যান করা হলেও নির্দিষ্টভাবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা হাবড়ার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নারায়ণ গোস্বামীকে, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিশ্বজিৎ দাস এবং নারায়ণ গোস্বামীকে। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম।
[আরও পড়ুন: ওপার বাংলায় ফের ক্ষমতায় আওয়ামি লিগ, প্রিয় ‘হাসিনাদি’কে শুভেচ্ছা জানালেন মমতা]
তৃণমূল সূত্রে খবর, দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতাদের না জানিয়ে শনিবার সাংগঠনিক কাজে হাবড়া এবং বনগাঁয় যান নির্মল ঘোষ। পরের দিন রবিবার বসিরহাটের টাকিতেও গিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পরই অসম্মানিত বোধ করে ক্ষুব্ধ হন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তাই এদিনের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ নেতারা অনুপস্থিত বলেই সূত্রের খবর। যদিও বৈঠকে না আসার প্রসঙ্গে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “আমাকে হাবড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ তারিখ সেখানে মেগা র্যালি করা হবে। এদিন বারাসতে এই র্যালি করা নিয়েই হাবড়ার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাই কোর কমিটির বৈঠকে আসতে পারিনি।” সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন কেউ কোন মন্তব্য করেননি। সৌগত রায় জানান, এবিষয়ে যা বলার রাজ্য সরকার বলবে।