shono
Advertisement

রাজনৈতিক দলে ভরসা নেই, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দাজির্লিংয়ে একঝাঁক নির্দল প্রার্থী

'দিল্লিতে পাহাড়ের আওয়াজ পৌঁছে দিতে বাধ্য হয়ে ভোটে লড়ছি', বক্তব্য প্রার্থীদের। The post রাজনৈতিক দলে ভরসা নেই, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দাজির্লিংয়ে একঝাঁক নির্দল প্রার্থী appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:50 PM Apr 07, 2019Updated: 07:38 PM Jun 03, 2019

দীপঙ্কর মণ্ডল: বড় দলের উপর ভরসা নেই। গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দার্জিলিং লোকসভায় একঝাঁক নির্দল প্রার্থী। সাতটির মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়াং বিধানসভার ভোট এই লোকসভার নির্ণায়ক। জিততে হলে এই তিন বিধানসভায় এগিয়ে থাকতে হয়। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি-সহ বারোটি দল এখানে লড়ছে। একঝাঁক তরুণ-তরুণী নির্দল হিসাবে লোকসভার প্রার্থী। সবার বক্তব্য, “আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে নেতারা চলে যান। দীর্ঘদিনের দাবি মেটে না। দিল্লিতে পাহাড়ের আওয়াজ পৌঁছে দিতে বাধ্য হয়ে ভোটে লড়ছি।”

Advertisement

দার্জিলিংয়ের সমাজ আন্দোলনে ঋষিকা ছেত্রী সুপরিচিত নাম। বয়স মাত্র ২৯। জোড়বাংলো থানা এলাকার রংবুল গোর্খা বসতিতে থাকেন ঋষিকা। তিনি দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে এবার নির্দল হিসাবে লড়ছেন। বিভিন্ন গণ আন্দোলনের কর্মী পেশায় ব্যবসায়ী ঋষিকার বক্তব্য, “বিমল গুরুংয়ের মতো নেতারা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন করেছেন ঠিকই। কিন্তু প্রায় দু’বছর তাঁর দেখা নেই। পাহাড়ের মানুষের হৃদয়ে গোর্খাল্যান্ডের স্বপ্ন বহুদিনের। আমি তাই বাধ্য হয়ে এই ইসু্যতেই ভোটে লড়ছি।” ঘুমের বাসিন্দা স্বরাজ থাপা নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক এই প্রার্থীরও মূল দাবি গোর্খাল্যান্ড। তবে তিনি নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। একসময় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা এখন দল থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “পাহাড়ের এমন কোনও মানুষ নেই যিনি গোর্খাল্যান্ডের সমর্থক নন। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় হয়তো কেউ কেউ এখন প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। তবে আলাদা রাজ্যের দাবি ছিল, আছে, এবং থাকবে।”

প্রশ্ন উঠেছে আন্দোলনের এক সময়ের মুখ স্বরাজ কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন। তিনি জানিয়েছেন, “রাজনৈতিক দলগুলিকে আমি একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। যশবন্ত সিং, এসএস আলুওয়ালিয়ার মতো বাইরের প্রার্থীরা আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে গোর্খাল্যান্ডের কথা ভুলে গিয়েছেন। এবার যাতে তা না হয় তা নিশ্চিত করতেই মনোনয়ন পেশ করেছিলাম।” বিজেপি এবং তৃণমূল এবার স্থানীয়দেরই প্রার্থী করেছে। জাপের হরকা বাহাদুর ছেত্রীও আছেন। এছাড়াও ডিআরসি, আইডিআরএফ-এর মতো দলগুলিও পাহাড়ের মানুষকেই টিকিট দিয়েছে। দলগুলির টিকিট বণ্টনে খুশি স্বরাজ। গোর্খাল্যান্ডের দাবির পাশাপাশি পাহাড়ের মানুষের অধিকার বুঝিয়ে দিতে নয়া দিল্লির বাসিন্দা রাজেশ সিং এবারের নির্দল প্রার্থী। তাঁর কথায়, “কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছে কোনও দয়া নয়, পাহাড়ের মানুষ নিজেদের অধিকার বলেই স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও অন্যান্য পরিষেবা পাবে। আগে সচেতন হতে হবে। প্রার্থী হওয়ার মাধ্যমে আমি প্রচুর মানুষকে সচেতন করতে পারব।”

তবে গোর্খাল্যান্ডের দাবির বাইরেও কয়েকজন প্রার্থী আছেন। এমনই একজন কালিম্পংয়ের ছোট ব্যবসায়ী অজয় দহল। তিনি বলেন, “ভোটে জিততে হলে অনেক টাকা লাগে। যা আমার নেই। আমি চাই পাহাড়ে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সম্প্রীতি ফিরে আসুক। একজন বাঙালির দোকানে গোর্খারা যান। মুসলিম ভাইবোনেদের নিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া হোক। এই বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতেই ভোটে লড়ছি।”

The post রাজনৈতিক দলে ভরসা নেই, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দাজির্লিংয়ে একঝাঁক নির্দল প্রার্থী appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement