অর্ণব দাস, বারাসত: দিন কয়েক আগেই আবর্জনা স্তূপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে বিপদ ছড়িয়েছিল হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকায়। আশপাশের বাড়িঘর পুড়ে যায়। মাথার উপরের ছাদ হারান অনেকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাঁদের জন্য আলাদা ঘর তৈরি করে দিচ্ছে কেএমডিএ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি মধ্যমগ্রামে। শনিবার বিকেলে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আচমকা আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। ছড়ায় তীব্র আতঙ্ক। স্থানীয়রা পৌরসভাকে দুষে সাময়িক বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে চলে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি আশ্বাস দেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খবর পেয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে মন্ত্রী রথীন ঘোষ।
মধ্যমগ্রাম পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড। সেখানে শনিবার দুপুরে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। দূর থেকে তা চোখে পড়ে আশপাশের বাসিন্দাদের। তাঁরা এই দৃশ্য দেখার পরই খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পৌরসভায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলে পাঁচটি ইঞ্জিন। পরে সেই ইঞ্জিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯-এ। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন দমকল কর্মীরা। আগুনের তীব্রতা এতটাই যে বারাসতের আকাশ জুড়ে ভেসে আসছে সেই আগুনের ছাই। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও মধ্যমগ্রাম পৌরসভার পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ।
এলাকার বাসিন্দা সায়রা বানু-সহ অনেকেই অভিযোগের সুরে জানান, এদিন আগুন লাগার খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও আগুন নেভাতে তিনি কোনও তৎপরতাই দেখাননি। শুধু তাকিয়ে দেখেছেন, আগুনে সব জ্বলছে। বাড়িও যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেদিকেও ভ্রূক্ষেপ ছিল না। তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পৌরসভা ঘেরাওয়ের কথা বলেন। মন্ত্রী রথীন ঘোষের অবশ্য দাবি, বিক্ষোভ তেমন কিছু হয়নি। যাঁরা সমস্যায় পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্ত্রী নিজে। ঘরবাড়ির যা ক্ষতি হয়েছে, তার মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশমন করে তিনি জানান, "আবর্জনা ফেলার কারণে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। সেখান থেকেই আগুন ধরে ছড়িয়ে গেছে বলে অনুমান। এর থেকে পার্শ্ববর্তী বাড়িও তাপদগ্ধ হয়েছে। তাতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। পৌরসভায় এনিয়ে রবিবার আলোচনা করা হবে।"