সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে অকাল ভোটযুদ্ধ। ভবানীপুরে উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জে চলছে ভোটগ্রহণ। ভোটাভুটিতে কি বাদ সাধবে বৃষ্টি, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে আশার বাণী শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বর্তমানে নিম্নচাপটি ঝাড়খণ্ডের উপর অবস্থান করছে। তার ফলে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা নেই। তবে দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। তবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার অবনতি হবে। বিভিন্ন জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি। তার ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: WB By-Election: সাতসকালেই ভবানীপুরের রাস্তায় ফিরহাদ, বুথে বুথে ঘুরছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল]
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল মঙ্গলবার সকালেই। তার প্রভাবে দিনভর আকাশ ছিল মেঘলা। দফায় দফায় বৃষ্টিও হয় কয়েক পশলা। বুধবারও যে বৃষ্টি হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূ্র্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান ও বীরভূম জেলায় ঝোড়ো হাওয়াও বইতে দেখা যায়। কলকাতায় দুর্যোগ মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।
বিদ্যুৎ ভবনে দিনরাত সচল কন্ট্রোল রুম। কোনওভাবেই যাতে বিদ্যুতের খোলা তারে বিপদ না ঘটে, তার জন্য বিশেষ সতর্ক ছিল বিদ্যুৎ দপ্তর। বিদ্যুতের পোস্ট, ফিডার বক্স, মিটার বক্স ও বিদ্যুতের তার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা করার জন্য জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ ও সি.ই.এস.সি-কে নির্দেশও দিয়েছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যদিও কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাবে’র কাঁটায় সেভাবে বিদ্ধ হয়নি বাংলা। ওড়িশা এবং অন্ধ্রে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছিল। প্রাণও কেড়েছে দু’জনের। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আরব সাগরে ফের একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে। তবে এদেশে তার প্রভাব পড়বে না। ক্রমতালিকা অনুযায়ী ‘গুলাবে’র পর ওই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শাহিন’।