বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীতের স্মৃতিচারণা এবং আগামী নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়।

দুর্গাপুজো, ইদের মতো পয়লা বৈশাখও একটা উৎসব। এই দিনের জন্য আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই। আমি এখনও একটা কনফারেন্সে রয়েছি। ওইদিন কী করব, তা নিয়ে কিছুই ভাবিনি। বছরের বাকি পাঁচটা দিনের মতোই দলের কাজকর্মের মধ্যে দিয়ে সম্ভবত কেটে যাবে এবারের বাংলা নতুন বছরের প্রথমদিনটাও।
বেড়ে ওঠা আসানসোলের কুলটিতে। অবাঙালি, মুসলিমদের মাঝে। তবে ইদ, মহরমের মতোই পয়লা বৈশাখেও একেবারে বাঙালি পরিবারের মতোই উদযাপনে মাতেন তাঁরাও। ফলে কুলটিতে বড় হলেও পয়লা বৈশাখের আমেজ পেয়েছি বরাবর। আপনার পাড়ায় পাশে যদি মুসলিম পরিবার থাকে, দেখবেন একইভাবে তাঁরাও দুর্গাপুজো, পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে। আমার কাছে একরকম, ওদের কাছে অন্যরকম কোনওদিনই নয়। তবে ব্যক্তিগতভাবে...আসলে আমার কাছে পয়লা বৈশাখ, পয়লা বৈশাখই। আলাদা করে কিছু না।
অনেকের কাছেই পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন জামা। আসলে এটা নির্ভর করে ছোটদের বাবার আর্থিক পরিস্থিতি কেমন তার উপর। আমার ক্ষেত্রেও সেটাই ছিল। আলাদা করে কেনাকাটা, বিশেষ খাওয়াদাওয়া সেরকম কিছুই ছিল না। এবারও একইভাবেই কাটবে দিনটা। কোনওরকম কোনও পরিকল্পনাই নেই।