বিক্রম রায়, কোচবিহার: লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami)। এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক। এসএসজি-র ডিআইজিকে চিঠি লিখে সেকথা জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচনে জয়ের পরেও নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবির নেপথ্যে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর জল্পনা।
এসএসজি-র ডিআইজিকে শুক্রবারই চিঠি লিখেছেন মিহির গোস্বামী। বিজেপি (BJP) বিধায়ক অবশ্য চিঠিতে নিরাপত্তা নিতে না চাওয়ার কারণ উল্লেখ করেছেন। তিনি লেখেন, “বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বহু বিজেপি কর্মী হামলার শিকার হচ্ছেন। দলীয় কর্মীরা তার ফলে ভীত, সন্ত্রস্ত। অধিকাংশ বিজেপি কর্মী মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন। কেউ কেউ জেলবন্দিও।” দলীয় কর্মীরা বিপদের মধ্যে রয়েছে জেনেও নিজে সিআইএসএফ-এর নিরাপত্তা নিতে পারবেন না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মিহির গোস্বামী। তাঁর দাবি, দলীয় নেতা-কর্মীদের বিপদে ফেলে নিজে নিরাপদে থাকলে তাঁদের মনোবল ভেঙে যাবে। এর পাশাপাশি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: করোনার টিকাকরণ নিয়ে বিশৃঙ্খলা, গ্রেপ্তার ডোমকলের তৃণমূল কাউন্সিলর]
উল্লেখ্য, এর আগে ঠিক একই কারণ দেখিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও (Locket Chatterjee) নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থীরা। তারই মাঝে জয়ী হয়েও বিধায়কের নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও তৈরি হয়েছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, নিরাপত্তা নিয়ে নাটক করছেন মিহির গোস্বামী। দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না বলে উনি নাকি নিরাপত্তারক্ষী নিতে চাইছেন না, একথা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেই দাবি তৃণমূল নেতার।