শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: হিজাব বিতর্কের (Hijab Controversy) আঁচ বাংলায়। স্কুলে হিজাব পরে না আসার নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানশিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল। সুতি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অভিভাবকদের দাবি, শুক্রবার বহুতালি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক দীনবন্ধু মিত্র ছাত্রীদের হিজাব পরে স্কুলে না আসার নির্দেশ দেন। মাথায় ওড়নাও না দিতে বলেন তিনি। প্রধানশিক্ষকের নির্দেশের কথা বাড়ি ফিরে অভিভাবকদের জানায় পড়ুয়ারা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। শনিবার সকালে তাঁরা স্কুলের সামনে পৌঁছন। এমন নির্দেশিকা জারি করায় প্রধানশিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকরা। মারধরও করা হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন ছবি বিধাননগরে! বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি]
পরিস্থিতি বেসামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুতি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। উর্দিধারীদের সামনে প্রধানশিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব হন অভিভাবকরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পালটা শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পর প্রধানশিক্ষককে ঘেরাওমুক্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক হিমাণী বিশ্বাসও। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের কলেজে মুসলমান ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। এই পরিস্থিতিতে একটি ভিডিও বিদ্যুৎগতিতে ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। তাতে দেখা যায়, কর্ণাটকের মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে স্কুটিতে চড়ে এক মুসলিম ছাত্রী ক্যাম্পাসে ঢোকার পরই তাঁর উদ্দেশে হিন্দুত্ববাদী ছাত্ররা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। প্রথমে তা এড়িয়ে গেলেও ছাত্রীটিও পালটা ঘুরে দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে সুর চড়ান। ছাত্রীর ওই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল (Viral)। স্বভাবতই হিজাব বিতর্কের আঁচ বাড়ে আরও। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কসার্কাস ক্যাম্পাসে হিজাবের পক্ষে সরব হন ছাত্রছাত্রীরা। এবার হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদও।