অর্ণব দাস, বারাকপুর: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন হয়েছে। এবার তাঁরই নির্দেশ মেনে বড়মা নামে ফেরিঘাটে বোর্ড লাগানো হল পরিবহণ দপ্তরের তরফে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে। জানা গিয়েছে, নৈহাটি বড়মা ফেরি সার্ভিসের নামে রশিদও ছাপানো হয়ে গিয়েছে। পুরোনো রশিদ শেষ হলে আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন রশিদ চালু হয়ে যাবে।
নৈহাটি রেল স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে স্টেশন রোড সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে গিয়ে শেষ হয়েছে বড়মা ফেরিঘাটে। এই অরবিন্দ রোডের প্রায় মাঝামাঝিতেই অবস্থান বড়মার মন্দিরের। গত বছর শতবর্ষে এই মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করে পাকাপাকিভাবে কষ্টিপাথরের বড়মার মূর্তি স্থাপনের পর থেকে প্রতিদিনই ভক্তদের ভিড় বাড়ছে মন্দিরে। মূলত ট্রেন ও ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমেই বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে আসেন ভক্তরা।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেরিঘাট দিয়ে রোজ কমবেশি ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তার মধ্যে ২ হাজারের বেশি মানুষ আসেন বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে। এদের মধ্যে আবার অনেকেই ফেরিঘাটে স্নান করে দণ্ডি কাটতে কাটতে মন্দিরে যান। তাই ভক্তদের নিরাপত্তা ও পুজো দেওয়ার ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত রাখতে যেমন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বড়মা পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি হয়েছে। তেমনই নৈহাটি ফেরিঘাটের নাম বড়মার নামে করার পাশাপাশি রাজ্যসভার সাংসদ তহবিলের ১০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘাট সংস্কারের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এনিয়ে নৈহাটির সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, ''বড়মার মন্দিরে পুজো দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি ও ফেরিঘাটের নামবদলের। এর পরই সেসব কাজ করা হয়েছেষ। পরিবর্তন হয়েছে ফেরিঘাটের নাম। এতে নৈহাটিবাসী খুবই খুশি।'' বড়কালী পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্যর বক্তব্য, ফেরি সার্ভিসের বোর্ড পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি রশিদও পরিবর্তন হল। এত দ্রুত কাজ হওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।