সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশনের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনায় রিপোর্ট পেশ করল তদন্ত কমিটি। নির্মাণ সংস্থার গাফিলতিতে এই কাণ্ড ঘটেছে বলেই ওই রিপোর্টে দাবি উল্লেখ করা হয়েছে। ভাল করে স্টেশনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংস্কারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলেই পরামর্শ তদন্ত কমিটির সদস্যদের।
গত ৪ জানুয়ারি রাত ৮টা ৫মিনিট নাগাদ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বর্ধমানের স্টেশনের প্রবেশপথের একাংশ। ওই অংশের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা দু’জন গুরুতর জখম হন। কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর ভেঙে যাওয়ার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় স্টেশন চত্বর। আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন গুরুতর জখম হন।
বারবার সংস্কারের দাবি ওঠা সত্ত্বেও রেল কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এমন কাণ্ড ঘটেছে বলেই দাবি স্থানীয়রা। কী কারণে ভেঙে পড়ল প্রাচীন স্টেশনের একাংশ, তা নিয়ে রাজনৈতিক আকচাআকচিও কম হয়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
[আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট, দোলের দিনই বসন্তোৎসব শান্তিনিকেতনে]
স্টেশনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রায় দু’সপ্তাহের মধ্যে শনিবার রিপোর্ট দিল তদন্তকারী কমিটি। যে সংস্থা ওই স্টেশন ভবন দেখভাল করছিল, তাদের গাফিলতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলেই উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। তদন্ত কমিটির সদস্যদের দাবি, “প্রাচীন কোনও জায়গা সংস্কার করতে গেলে প্রথমে তার সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা না করেই প্রাচীন স্টেশনে কাজ করা হচ্ছিল। প্রাচীন ভবনের কাজ শুরুর আগেরও সমীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ওই রিপোর্ট কোথায় গেল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তদন্ত কমিটির পরামর্শ, যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিকল্প কোনও সংস্থাকে দিয়ে গোটা স্টেশন চত্বরের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। দরকার হলে স্টেশনের যে এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলিকে আবারও নতুন করে সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
আপাতত বর্ধমান স্টেশনের ভাঙা ভবনের অংশটি ঘিরে রাখা হয়েছে। শুরু হয়েছে স্টেশনটি ভেঙে ফেলার কাজ। তবে কবে সংস্কারের কাজ শেষ হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। যাত্রীদের দাবি, সংস্কার হচ্ছে ঠিকই তবে কখন যে কোন অংশ ভেঙে পড়ে বিপদ হয় তা বলা সম্ভব নয়।
The post নির্মাণ সংস্থার গাফিলতিতেই ভেঙেছে বর্ধমান স্টেশন, রিপোর্টে উল্লেখ তদন্ত কমিটির appeared first on Sangbad Pratidin.
