অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: শৌচালয়ের ভিতরে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গানগর কলোনিতে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, পরে কলের সঙ্গে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম বিপুল গুপ্তা(৪০)। পেশায় তিনি হকার ছিলেন। শুক্রবার রাতে বিপুলের স্ত্রী ও ছেলে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে এসে স্বামীকে ঘরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্ত্রী লক্ষ্মী গুপ্তা। দেখেন, বাড়ির শৌচালয়ের বাইরে রক্ত পড়ে। শৌচালয়ের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। হঠাৎই দরজা খুলে বেরিয়ে আসে অভিযুক্ত রামচন্দ্র বর্মণ। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে খালপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। যদিও খুনের কারণ জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত রামচন্দ্রের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদ করেন বিপুল। সূত্রের খবর এর পরই তাঁকে প্রাণে মারা হয়। যদিও নিহতের স্ত্রী অবশ্য অন্য দাবি করছেন। অভিযুক্তকে কাঠগড়ায় তুলে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহতের স্ত্রী লক্ষ্মী গুপ্তা বলেন, “ঘটনার সময় আমি ও ছেলে বাড়িতে ছিলাম না। একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে স্বামীকে না-দেখতে পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করি। অবশেষে শৌচাগারের কাছাকাছি গেলে রক্ত দেখতে পাই। এরপর দরজা ধাক্কা দিতেই রামচন্দ্রকে রক্তমাখা অবস্থায় দেখতে পাই। পাশে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পড়েছিল স্বামী। আমাদের দেখে রামচন্দ্র আমাকে এবং ছেলেকে ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।”
এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শুভেন্দ্রকুমার বলেন, “রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।” নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে অভিযুক্তের সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা কিনা, তাও জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।