ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এ বছর শতবর্ষে পা রেখেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। সেই উপলক্ষে শতাধিক গাছ পোঁতার কর্মসূচি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইমতো শুক্রবার সকাল থেকে দুটি ভাগে বৃক্ষরোপণ (Plantation) শুরু হয়েছে পূর্বপল্লির পৌষ মেলার মাঠ এবং আশ্রম মাঠে। আপাতভাবে এটি কর্মসূচি হলেও কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আশ্রমিকদের অভিযোগ, পৌষমেলা বন্ধ করার জন্য পরিকল্পনা করে মাঠ জুড়ে গাছ পুঁতে ফেলা হচ্ছে। হাত লাগিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরাও।
শুক্রবার বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের উদ্যোগে পৌষমেলার (Poush Mela) মাঠে এবং আশ্রম মাঠে পলাশ, কৃষ্ণচূড়া এবং অমলতাস লাগানো হয়। ৫০টি গাছে পৌষমেলা মাঠে এবং বাকি ৫০টি আশ্রম মাঠে লাগানো হয়। এদিন এই গাছ লাগানো অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাড়াও বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরার নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে অশান্তির সময় প্রচুর গাছ ভেঙে গিয়েছিল। সেইসব জায়গাতেই এই গাছগুলি লাগানো হয় বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: রেলপুলিশে প্রথম মহিলা ওসি পদে রুপসীনা, ভালবাসা দিয়েই জয় করতে চান যাত্রীদের মন]
এদিকে, মেলার মাঠ, আশ্রম মাঠে শতাধিক গাছ লাগানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আশ্রমিক এবং ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আর পৌষমেলা করতে চাইছে না। তাই তারা পরিকল্পনা করে পৌষমেলা মাঠে গাছ পুঁতে দিচ্ছে। প্রথমে মাঠ ঘিরে দিয়ে গেটগুলিতে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর মাঠে পড়ুয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এবার গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বোলপুর ব্যবসায়ী সমতির পক্ষে সুনীল সিং এবং সুব্রত ভকত বলেন, ”বিশ্বভারতী পৌষমেলা করবে না। তাই পরিকল্পনা করে গাছ লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পৌষমেলা করার দাবি জানাচ্ছি।” তবে কি সত্যিই পৌষমেলা হবে না? এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার বৃক্ষরোপণের ঘটনায় পৌষমেলা চিরতরে বন্ধের আশঙ্কা করছেন সকলে।