সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শহর পুরুলিয়ায় (Purulia) সোনার বিপণিতে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে রানাঘাটের কোনও যোগ নেই। পুরুলিয়ায় অপারেশন চালায় একটি পৃথক গ্যাং (Gang)। গত মঙ্গলবার প্রায় দু’ঘন্টার ফারাকে পুরুলিয়া ও রানাঘাটে প্রায় একই কায়দায় একই কোম্পানির সোনার বিপণিতে ডাকাতি হয়। ওই ঘটনার পরই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের একটি দল রানাঘাটে (Ranaghat) রওনা দেয়। ওই দল রানাঘাটের ঘটনায় ধৃতদেরকে জেরা করে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে পুরুলিয়ার ঘটনার বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন তথ্যই জানা যায়। ফলে রানাঘাটে থাকা পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ওই দল ফিরে আসছে। এদিকে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) থেকে প্রাপ্ত ছবি ও বিপণির কর্মীদের বয়ান অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের স্কেচ (Sketch)আঁকার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।
কিছু সূত্র থেকে এই ঘটনায় গঠিত হওয়া সিট (SIT) নিশ্চিত হয়েছে, অপারেশনের আগে অর্থাৎ ২৭ আগস্ট সোনার বুকিং করার পর থেকে ডাকাত দল পুরুলিয়া শহরে বা তার আশেপাশে ‘শেলটার’ নেয়। সাত দুষ্কৃতীর মধ্যে যে দু’জন হাঁটা পথে গা ঢাকা দেয়, তারা ‘শেলটার’ দেয়নি তো? সিটের তদন্তে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। ফলে এই ডাকাতরা কোন পথে শহর পুরুলিয়া ছেড়েছিল, তা জানতে এই শহর জুড়ে সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। ওই হাঁটা পথে থাকা দুষ্কৃতীরা ট্রেনে চেপে পালিয়ে যায়নি তো? যেহেতু শহর পুরুলিয়ার নামোপাড়ার ওই সোনার বিপণি থেকে পুরুলিয়া স্টেশন একেবারেই কাছে। ফলে তদন্তে সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বোনকে লাগাতার ধর্ষণ, রাখির দিনই অভিযুক্ত দাদাকে ২০ বছরের জেল, আক্ষেপ বিচারপতির]
এদিকে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক দল (Forensic Team) সোনার বিপণিতে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে নিয়েছে। এদিনও তদন্তের কাজে একাধিকবার পুলিশ কর্তারা ওই সোনার দোকানে যান। ওই ডাকাত দল যে শহর পুরুলিয়া বা আশেপাশে থেকে বেশ কিছুদিন থেকে রেইকি করে তা নিশ্চিত পুলিশ। না হলে ভরদুপুরে একেবারে জনবহুল এলাকায় এত নিখুঁত অপারেশন সম্ভব নয়। যেখানে এই শহরে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পুরুলিয়া সদর থানার মোবাইল ভ্যান টহল দেয়।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় ১০-১২ আসন টার্গেট আইএসএফের! ডায়মন্ড হারবারে কি নওশাদ?]
এখনও পর্যন্ত যে সকল সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের ছবি মিলেছে, তার মধ্যে মাথায় হেলমেট থাকা ডাকাত ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) আশপাশের হতে পারে। যাকে সহজেই ট্র্যাক করতে পারবে পুলিশ। তাই ওই দুষ্কৃতী বাইকের মাঝে থেকেও মাথায় হেলমেট নিয়ে আছে এমনই অনুমান পুলিশের। সামনে ও পিছনে বসা বাকি দু’জন সম্ভবত দূরবর্তী রাজ্যের হতে পারে। এদিকে সোনার দোকানের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হেলমেট পড়ে থাকা ওই ডাকাতই এই অপারেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সিটের প্রাথমিক অনুমান, এই অপারেশনের মাথা ওই হেলমেট পড়া যুবক। সে তার বাকি সঙ্গীদের ব্যবহার করে।