shono
Advertisement

কেন্দ্রের নির্দেশ সত্ত্বেও খুলল না জুটমিলের গেট, হতাশ হয়ে ফিরলেন শ্রমিকরা

বারাকপুর ও হুগলি শিল্পাঞ্চলের একই ছবি। The post কেন্দ্রের নির্দেশ সত্ত্বেও খুলল না জুটমিলের গেট, হতাশ হয়ে ফিরলেন শ্রমিকরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 11:56 AM Apr 20, 2020Updated: 12:05 PM Apr 20, 2020

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও দিব্যেন্দু মজুমদার: দেশে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের মাঝেও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকটি কর্মক্ষেত্রকে সচল করতে সায় দিয়েছে কেন্দ্র। আজ, সোমবার থেকেই কাজ চালু হওয়ার কথা কৃষি, চা বাগান, চটকলের মতো দৈনিক কাজের ক্ষেত্রে। কিন্তু কেন্দ্রের সেই নির্দেশ সত্ত্বেও রাজ্যের জুটমিলগুলির গেট খুলল না। সাতসকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে দেখলেন, গেট বন্ধ, কোনও নোটিসও নেই। ফলে কাজে যোগ দিতে না পেরে কিছুটা হতাশ তাঁরা। বারাকপুর এবং হুগলি শিল্পাঞ্চলে দেখা গেল একই ছবি।

Advertisement

কথা ছিল, ‘নন হটস্পট’ এলাকা অর্থাৎ যেখানে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কম, সেখানে ন্যূনতম কর্মী নিয়ে একেবারে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলিতে কাজ শুরু হবে সোমবার থেকে। কর্মী সংখ্যা ১৫ শতাংশে বেঁধেও দিয়েছিল কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হলে, এর বেশি কর্মীকে কাজে লাগানো যাবে না। এই মুহূর্তে চটকলের উৎপাদন বন্ধ রাখলে যেমন বিপুল ক্ষতি, তেমনই পাটজাত পণ্য না মেলায় সমস্যা হবে। একথা ভেবে এ রাজ্যের জুটমিলগুলি খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তাতে সাড়া দিয়ে হুগলি, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে জুটমিল খুলতে সায়ও দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন ছবি।

[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, আগামী ৩ দিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা]

১৫ শতাংশ কর্মী কাজ করবেন জুটমিলগুলিতে। কেন্দ্রের এই নির্দেশ মেনে নিতে নারাজ শ্রমিকরা। এর সঙ্গে একমত নয় মালিকপক্ষও। তাঁদের দাবি, এত কম শ্রমিক নিয়ে চটকলের কাজ করা অসম্ভব। এতে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বাড়বে। তাছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে লকডাউনের সময় সবেতন ছুটি দিতে হবে বলেও দাবি তোলেন শ্রমিকরা। আর এই দাবিতে হুগলির গ্যাঞ্জেস জুটমিলের সামনে রবিবার বাম-ডান শ্রমিক সংগঠন নির্বিশেষে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করে তাঁদের একাংশ। পরে মগরা থানার পুলিশ গিয়ে অনশন তুলে দেয়।

আজ সকালে বাঁশবেড়িয়ার এই জুটমিলটি খোলেনি। কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা মিল খোলার জন্য কোনও কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা হাতে পাননি। একই অবস্থা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মিলগুলিতেও। সেখানেও সকাল সকাল কাজে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন, গেট বন্ধ। কোনও নোটিস নেই। কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করার পর তাঁরা কার্যত নিরাশ হয়ে ফিরে যান। কেন্দ্রীয় নির্দেশ সত্ত্বেও দিনের প্রথমার্ধ্বে এ রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রের ছবিটা অন্তত কোনও আশা দেখাতে পারল না।

The post কেন্দ্রের নির্দেশ সত্ত্বেও খুলল না জুটমিলের গেট, হতাশ হয়ে ফিরলেন শ্রমিকরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement