সম্যক খান, মেদিনীপুর: নার্সকে (Nurse) শারীরিক হেনস্তা করার অভিযোগ উঠল সাফাইকর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নার্সের মাথায় সিঁদুর ঘষে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চন্দ্রকোণা রোডের ডিগ্রি হাসপাতালে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তর কড়া শাস্তির দাবি তোলেন হাসপাতালের নার্সরা। হাসপাতালের সুপার বিশ্বনাথ দাসের কাছে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা।
নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ১৬ আগস্ট এই ঘটনা ঘটে। সেদিন সকালে তিনি হাসপাতাল থেকে ডিউটি সেরে ফিরছিলেন। তখনই সাফাইকর্মীর ছেলে পাপন মল্লিক তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। তাঁর সঙ্গে জোর জবরদস্তি করতে থাকে। অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করে। নার্স বাধা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু আচমকা তাঁর মাথায়, কপালে এবং পোশাকে সিঁদুর ঘষে দেয় পাপন। ততক্ষণে নার্সের চিৎকারে ঘটনাস্থলে লোকজন চলে আসেন। বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: ‘হামলার মুখে না পড়লেও তালিবানকে বিশ্বাস করা যায় না’, অভিজ্ঞতা জানালেন Kabul ফেরত শিক্ষক]
ডিগ্রি হাসপাতালের নার্সের অভিযোগ, ওই সাফাইকর্মী আদতে খড়গপুর হাসপাতালে কাজ করেন। কিন্তু অনৈতিকভাবে চন্দ্রকোণা রোডের ডিগ্রি হাসপাতালের কোয়ার্টার দখল করে থাকেন। ঘটনার পরই তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সুপারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন কেটে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে বিচার না পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন ডিগ্রি হাসপাতালের নার্স। এদিকে ঘটনা জানতে পেরে হাসপাতালের অন্যান্য নার্সরাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সকলে মিলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। সুপার বিশ্বনাথ দাসের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন। অভিযুক্তর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন। ডেপুটেশন পাওয়ার পর হাসপাতাল সুপার জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযুক্ত পাপনের খোঁজ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কেন সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।