টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া স্টেশনে অলচিকি হরফে লেখা 'বাঁকুড়া' বানান ভুল। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আদিবাসীরা। অভিযোগ, স্টেশন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানোর পরেও ওই অলচিকি হরফে লেখা 'বাঁকুড়া' বানানটি পরিবর্তন করা হয়নি। সোমবার অল আদিবাসী সাঁওতাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বাঁকুড়া স্টেশন ম্যানেজারকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে আদ্রা ডিভিশনের বন্দরে এই বাঁকুড়া স্টেশনকে নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরেই স্টেশন এবং স্টেশন সংলগ্ন রেললাইন ও প্ল্যাটফর্মের কাজ চলছে। সম্প্রতি স্টেশনে প্রবেশ এবং বেরনোর পথ চিহ্নিত করতে নতুন করে নাম লেখা হয়েছে। সিমেন্টের পিলারে হলুদ ও কালো রঙে অলচিকি হরফে লেখা 'বাঁকুড়া'র বানান ভুল লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ আদিবাসী সংগঠনের। সংগঠনের তরফে সংঙ্গেরি হেমব্রম জানাচ্ছেন, প্রথমত অলচিকি হরফে লেখা বাঁকুড়ার হরফগুলি খুব ছোট করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, অলচিকি হরফে লেখা 'বাঁকুড়া' বানানও ভুল। বাঁকুড়ার স্টেশন ম্যানেজার অনিরুদ্ধ দে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে রেলদপ্তরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার এমন ভুলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরব হয়েছে তৃণমূলও। বাঁকুড়ার সাংসদ তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী বলেন, "আদিবাসী ছাত্র সংগঠন প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে। অবিলম্বে এই ভুল সংশোধন করা হোক। নইলে রেলমন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হব।"
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় স্তরেও দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। তিনি একাধিক বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে অবাধ গতিবিধি ছিল তাঁর। পরবর্তীতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের রাজ্যকে স্বভাবতই বেশি সময় দেন। আর দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অন্যতম প্রাপ্তি একাধিক ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবলীল কথা বলা। বেশ কয়েকটি ভাষা তিনি জানেন। তার চেয়েও বড় কথা, বিভিন্ন ভাষাকে গুরুত্ব দেন একইভাবে। সাঁওতালি, রাজবংশী, অলচিকির মতো বিলুপ্তপ্রায় ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা বেশ প্রশংসনীয় বিশেষজ্ঞ মহলে।