দীপঙ্কর মণ্ডল: কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দপ্তরে কাজকর্মের ক্ষেত্রে আরও সহজ হচ্ছে পদ্ধতি। সশরীরে গিয়ে ফর্ম তোলা, জমা দেওয়া, ভেরিফিকেশনের ঝক্কি আর নিতে হবে না পড়ুয়াদের। এবার থেকে এসব অনলাইনে চালু হতে চলেছে। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে উচ্চশিক্ষা সংসদে এক বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিনর বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। শিক্ষামন্ত্রীর নতুন সিদ্ধান্তের পর কলেজে ভরতিতে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, তাতে ইতি পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলেজে ভরতির সময় থেকেই একাধিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় পড়ুয়াদের। লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম তোলা থেকে শুরু করে ভরতির পর ভেরিফিকেশন পর্যন্ত-অনেক কিছুই খুব একটা মসৃণভাবে হয় না। এসব সমস্যা আর থাকবে না। সবটাই করা যাবে অনলাইনে। ভেরিফিকেশনের বিষয়টি এক মাসের মধ্যে করলেই হবে। এছাড়া পড়ুয়াদের উপস্থিতি নিয়েও সমস্যা থেকে যায়। যথাযথ উপস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম আন্দোলনের সাক্ষী থাকেনি এরাজ্য। বারবার শিক্ষামন্ত্রীর কড়া বার্তার পরও পরিস্থিতি তেমন বদলায়নি। এদিনের বৈঠকে পড়ুয়াদের উপস্থিতি নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কলেজে ভরতির সময়েই এবার থেকে পড়ুয়াদের ৬০ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
[‘পুলিশকে কান ধরে ওঠবোস করাব’, প্রকাশ্যে হুমকি শতরূপের]
শিক্ষাঙ্গনে অনভিপ্রেত সমস্যা এড়াতে শিক্ষামন্ত্রীর এসব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তাঁদের ধারণা, লাইন দিয়ে কলেজ ভরতির প্রক্রিয়ায় বদল এনে অনলাইনে বেশিরভাগ কাজ করার ব্যবস্থা হলে আদতে সুবিধা হবে পড়ুয়াদেরই। সময় বাঁচবে, ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা কমবে। পাশাপাশি ভরতির সময় যে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি শিক্ষা দপ্তরের ইমেজ কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, তা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজের পরীক্ষায় বসার জন্য অনলাইন পদ্ধতি চালু করতে তৎপর শিক্ষা দপ্তর।
The post ঝক্কি কমাতে নতুন শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভরতি অনলাইনে, সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
