সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবককে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত বীরভূমের সিউড়ি। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সিউড়ি তিলপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাজল শেখ-সহ ১৫ জনকে। যার জেরে রাজনৈতিক রং লেগেছে গোটা ঘটনায়। যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দাবি, গ্রাম্য বিবাদের জেরেই প্রাণ গিয়েছে শেখ মফিজুরের। এই ঘটনার পরই রবিবার সকালে মাজারে রাজ্যের শান্তি প্রার্থনা করলেন ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার সন্ধেয় সিউড়ির বাঁশঝোড় এলাকার কবর স্থানে মিলেছে শেখ মফিজুড়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ। তারপরই খুনের নেপথ্যে উঠে এসেছে বালি খাদান দখলের তত্ব। বিরোধীদের দাবি, বালি খাদান নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই এই পরিণতি। মূল অভিযুক্ত সিউড়ি তিলপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধক্ষ্য কাজল শেখ। শনিবার ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফলে বিরোধীদের একাংশ সিউড়ির ঘটনায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। এদিকে কাজল শেখের দাবি, খুন ও অশান্তির সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বালি খাদান নিয়ে অশান্তির জেরে যুবককে কুপিয়ে খুন! রাতভর বোমাবাজি, উত্তপ্ত সিউড়ি]
এই অশান্তিতে পরিকল্পনা মাফিক রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “কিছু ঘটে থাকলে সেটা অবশ্যই খারাপ ঘটনা। তবে বহু জায়গায় স্থানীয় বিবাদ হয়। তাতে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন তোলার কোনও মানে নেই। আর প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ যদি এতে যুক্ত থেকে থাকেন, তাকেও তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশ যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে তা স্পষ্ট।” এ বিষয়ে বামনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পুরোটাই ভাগ বাটোয়ারার খেলা।” এদিকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিঁধেছেন ফিরহাদ হাকিমকে। কিনি টুইটারে লেখেন, “ববি দা এবার একটু শান্ত হন কলকাতায় মারছেন ডেঙ্গিতে, বীরভূমে উস্কানিতে।”
এদিকে রবিবার সকালে সিউড়ির কাছে পাথরচাপড়ির হজরত দাতা মেহবুব শাহ ওয়ালি মাজারে যান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিউড়ি ও লাভপুরের বিধায়ক। মাজারে চাদর চড়িয়ে রাজ্যে শান্তি প্রার্থনা করেন ফিরহাদ হাকিম।