নব্যেন্দু হাজরা: করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্য সরকারের কড়া বিধিনিষেধে রাজ্যে কার্যত লকডাউনের (Lockdown) পরিবেশ। তবে তার মধ্যেও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের রুজিরুটির কথা ভেবে সারাদিনে ঘন্টা তিনেকের জন্য দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুধু বড়বাজার নয়, গয়নার দোকান খোলা থাকছে গোটা রাজ্যেই। দুপুর ১২ টা থেকে তিনটে পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর এই সময়টা নিয়েই বিপাকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। গ্রীষ্মের ভরদুপুরে প্রায় জনশূন্য এলাকার দোকানগুলিতে ডাকাতির (Dacoity)আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। তাই দোকান খোলার এই সময়সীমা বদলের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
এই মুহূর্তে রাজ্যে বন্ধ সব গণপরিবহণ। ক্রেতাও যৎসামান্য। উপরন্তু দুপুরে শুনশান পরিবেশ। এই সুযোগ নিয়ে ডাকাতির আশঙ্কা বাড়ছে সোনার দোকানে (Gold shops)। এমনকী ক্রেতারাও কিছু কিনতে ভয় পাচ্ছেন, যদি মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে ফেরার পথে ছিনতাই হয়ে যায়। এসব নানাবিধ কারণে দোকান খোলার সময় পরিবর্তনের আবেদন করে এবার রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন স্বর্ণশিল্পীরা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আবেদন, দোকান খুলতে দেওয়া হোক সকাল ৮ টা থেকে ১২টা অথবা সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটোর মধ্যে। যে সময় ব্যাংক খোলা থাকে। এই সময়ে তবু রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা থাকে। তাঁদের দাবি, শুধু কলকাতা দিয়ে বিচার করলে হবে না, গ্রাম এবং মফস্বলে প্রচুর ছোট ছোট সোনার দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকান খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা যাতে দোকান খুলতে পারেন, সেই কারণেই সময় বদলের দাবি।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’, মোকাবিলায় প্রস্তুত রেল]
বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, সোনা-রুপো ও অন্যান্য গয়নার দোকান সকাল ৮টা থেকে ১২ টা অথবা ব্যাংকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকাল ১০টা থেকে বেলা দুটো পর্যন্ত যদি খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে ছোট মাঝারি দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা খুব উপকৃত হবে। ব্যাংকের সঙ্গে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লেনদেনের ব্যাপারে একটা যোগাযোগ থাকে। তাই এই দুটি সময়ের মধ্যে যে কোনও একটি সময় দোকান খোলার জন্য সরকার অনুমতি দিলে হাজার হাজার সোনার দোকানি তাঁদের রুটিরুজি বজায় রাখতে পারবেন।বঙ্গীয় স্বর্ণ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, “গ্রামে-গঞ্জে এই দুপুরের সময় দোকান খুলতে ভয় পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। অন্য দোকানও বন্ধ থাকে। ফলে শুনশান পরিবেশে ডাকাতির ভয় রয়েছে। তাই আমরা দোকান খোলার জন্য সময় বদলের দাবি জানিয়েছি।”