সুমন করাতি, হুগলি: এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। বিজেপির থেকে বেশি আসন। ম্যাজিক ফিগারের থেকেও বেশি। অথচ সেই পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) প্রধানের আসন দখল করতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। উলটে কম আসন পেয়েও প্রধানের আসন যেতে পারে বিজেপির দখলে। সৌজন্যে সংরক্ষণের গেরো।
ঘটনা আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৬ টি। তার মধ্যে ১০ টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। আর বাকি ৬ টি আসন দখল নিয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির থেকে শাসকদলের প্রার্থীরা বেশি আসনে জয়ী হলেও প্রধানের আসন দখল নিতে পারছে না শাসকদল। আসলে এই পঞ্চায়েতে প্রধানের পদটি মহিলা ও আদিবাসী প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংরক্ষিত আসনের কারনেই।
[আরও পড়ুন: যমুনার জল লালকেল্লায়! দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ, ফ্রান্স থেকে শাহকে ফোন মোদির]
আসলে তৃণমূল প্রার্থীরা ১০টি আসনে জয়লাভ করলেও তাদের মধ্যে মহিলা আদিবাসী কেউ জয়ী হতে পারেননি। দেখা যাচ্ছে, ১৬ জন নির্বাচিত সদস্যের মধ্যে একজন মহিলা আদিবাসী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি (Purnima Mandi) জয়ী হয়েছেন। তাও বিজেপির টিকিটে। তাই আসন সংরক্ষণের আইনে এই পঞ্চায়েতে প্রধান পদের একমাত্র দাবিদার বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্নিমা। আর সেটা নিয়েই আরামবাগে রাজনৈতিক শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেলেন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান]
বস্তুত, এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসনের পুনর্বিন্যাস এবং সংরক্ষণের গেরোয় অনেক প্রভাবশালী নেতাকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সমস্যায় পড়তে হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকেও। আরামবাগের সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতের ঘটনা এমনই কাণ্ডের উদাহরণ।
