নন্দন দত্ত, বীরভূম: জেলে থেকেও বীরভূমের কোনায় কোনায় রয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) বাজারে বহাল তবিয়তে বীরভূমের মাটিতে রাজত্ব করছে ‘অনুব্রত ফিভার’। প্রচারের সংয়ের গানে উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জেলজীবনের কথা। তবে পুরোটাই কটাক্ষে ভরা! কীর্ণাহারের দাসকল গ্রামে সং সেজে সেই হাস্যরসের গান গেয়ে গোটা গ্রাম ঘুরলেন গ্রামেরই বিখ্যাত আলকাপ, পঞ্চরসের দল।
মাথায় জটা, নকল চুল, পরনে শাড়ি, গলায় মালা। তাঁরা নাচছেন। গান গাইছেন। আর তাঁর দোহারের দল পোঁ ধরছে! তাঁদের গান শুনে লুটোপুটি যাচ্ছে গ্রামের আবাল বৃদ্ধ। নানুরের দাসকল গ্রামের এটাই রীতি। প্রয়াত রাস্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের গ্রাম কীর্ণাহার এখনও রাজনৈতিক সচেতনতার জন্য সং গানই মাধ্যম। হরিনাম সংকীর্তনের ধুলোটে শোভাযাত্রা করে গোটা গ্রামে ঘোরে। তাতে এবার ছিল ৪০টি দল। সেই দলের সঙ্গে নানান ধরনের সং।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ম্যাচ না পেয়ে ক্ষুব্ধ মোহালি-নাগপুর, সামাল দিতে নয়া ঘোষণা বিসিসিআইয়ের]
আগে গ্রামের বিনোদনের একইসঙ্গে এলাকার খবরের অন্যতম মাধ্যম ছিল সং। তবে এই সং গান সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। কোনও উদ্দেশ্য ছাড়া নিখাদ বিনোদন। দাসকল গ্রামে তিনদিনের অহরাত্র সংকীর্তন শেষে ধুলোটের শোভাযাত্রায় সংয়ের দল গ্রাম ঘুরতে বের হয়। তিহাড়ে কীভাবে মশার কামড় খেয়ে বেঁচে আছেন অনুব্রত মণ্ডল, তা-ই হাস্যরসের মাধ্যমে পরিবেশন করে সংয়ের দল। গুড়, বাতাসা, নকুলদানা ভোটের বাজারে কোথায় গেল? খাবে কী ভোটাররা? সেই জেলজীবনের কথা উঠে এল গানে গানে।
এই অভিনব গানে উঠে এসেছে দুয়ারে দুর্নীতির কথা। বিনোদনের এই মাধ্যম শেষপাতে চাটনির মতন পরিবেশন করলেন বাপী কর্মকার, গৌতম মণ্ডল,পরেশ চট্টরাজ, ধ্রুপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু মাঝিরা। তাঁরা সকলেই দাসকল গ্রামের বাসিন্দা। জানিয়েছেন, এই সং তাঁদের গ্রামের চৌহদ্দির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। সং মানে কটাক্ষ, সং মানে হাস্যরস শুধু সেই উদ্দেশ্যেই এটি পরিবেশন করেন বলে জানান তাঁরা। এর সঙ্গে কেষ্ট মণ্ডল বা তাঁর দলকে হেয় করার কোনও উদ্দেশ্য তাঁদের ছিল না।