নন্দন দত্ত, বীরভূম: চিকিৎসকের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। পরিবারের বিক্ষোভে উত্তাল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিবারের অভিযোগ, সঠিক সময়ে চিকিৎসক থাকলে এই ঘটনা ঘটত না।
বিষয়টা ঠিক কী? বীরভূমের নলহাটি কয়থা গ্রামের বাসিন্দা বশির শেখ। আচমকা প্রবল পেটে ব্যথা শুরু হয় ওই ব্যক্তির। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে। বশির শেখের পুত্রবধূ জানান, রাত সাড়ে ১০ টায় শ্বশুরমশাইকে ভরতি করেন তাঁরা। ১২ টার সময় পেটের আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়। সকালে একবার চিকিৎসক দেখে যান। বলেন, পেটে ময়লা জমে আছে। তাই ব্যথা। পরে নাকে নল লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর আর কেউ যায়নি। বিকালে মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: সিগন্যালিংয়ের সমস্যায় ট্রেন বিভ্রাট বনগাঁ লাইনে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা, চালককে মারধরের চেষ্টা!]
মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। MSVP পলাশ দাস বলেন, “ঘটনার সময় মেডিক্যাল কলেজের এক অধ্যাপক-সহ জুনিয়র চিকিৎসকরা ছিলেন। বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মুখে গ্যাস হচ্ছিল। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।”
