বাবুল হক, মালদহ: মালদহে তৃণমূল নেতা খুনে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে খুঁজছে মালদহ জেলা পুলিশ। তাঁদের ধরতে এবার পুরস্কার ঘোষণা করল পুলিশ প্রশাসন। তাদের মাথার দাম ধার্য হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। যে বা যাঁরা অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারবেন, তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাতক দুই অভিযুক্তের নাম বাবলু যাদব। বয়স ৩১ বছর। তিনি মালদহের মহানন্দা কলোনির বাসিন্দা। অপরজন কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন। বয়স ৩০ বছর। তিনি মালদহ রেলওয়ে বারাক কলোনির বাসিন্দা। তাঁদের ছবি-সহ পরিচয়পত্র প্রকাশ করে পুলিশ জানিয়েছে এই দুই ব্যক্তির খোঁজ দিতে পারলে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যদিও শনিবারই রোহনের ভাই অমিত গ্রেপ্তার হয়েছিল। দাদা এখনও পলাতক।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শহরের মহানন্দাপল্লির বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার। ঘটনার দিনই বিহারের কাটিহার জেলার বাসিন্দা সামি আকতার ও আবদুল গনি এবং ইংলিশবাজার থানার গাবগাছির যদুপুরের বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বিহারের দুই দুষ্কৃতী সুপারি কিলার হিসেবে কাজ করেছে বলে দাবি পুলিশের। এই মামলায় শুক্রবার ইংলিশবাজার শহরের দুই বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজককে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবলার বাড়ি থেকে মাত্র আড়াইশো মিটার দূরেই রেলের বারাক কলোনিতে ধৃত অমিতের বাড়ি। পুলিশের সন্দেহ, এই খুনে বিহারের দুই দুষ্কৃতীকে সুপারি কিলার হিসেবে ব্যবহার করা হলেও অমিতের ডেরায় বয়েই হত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছে। তাই তার দাদা রোহনের খোঁজে তৎপর পুলিশ।
এদিকে তৃণমূল নেতা খুনে তিনদিন কেটে গেলেও মাস্টারমাইন্ড কে? তা জানা যায়নি। বাবলাকে খুনের 'সুপারি' কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল? এই খুনের নেপথ্যে শহরের কোনও বড়সড় মাথা রয়েছে? উঠছে এই প্রশ্নও। মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী তথা ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলর চৈতালি সরকারের প্রশ্ন, "কারা আমার স্বামীকে খুন করল, মাথাটা কার? সেটা আমার জানা দরকার।" এর মধ্যেই দুই পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে পুরস্কার ঘোষণা করল পুলিশ।