অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: স্কুলের পড়ুয়াদের ভর্তির ফি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সেজন্য বিক্ষোভ দেখালে পঞ্চায়েত প্রধান মারধর করেছেন পড়ুয়াদের। আর সেই নিয়ে সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার খয়রামারী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হল।
স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌঁছলে যেন আগুনে ঘি পড়ে। বিক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পুলিশের উপরও হামলা চলে। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। স্কুল চত্বরে আগুন লাগানোর ঘটনাও শোনা গিয়েছে। গোটা এলাকা বেশ কিছু সময়ের জন্য রণক্ষেত্র হয়ে পড়ে।
অভিযোগ, স্কুলে গত বছর ভর্তির ফি ছিল ৩০০ টাকা। চলতি বছরে কোনও আলোচনা ছাড়াই ওই ফি বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। গত ২ জানুয়ারি ভর্তির দিন প্রতিবাদ হলে শিক্ষকরা অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ফি নেওয়া হবে জানান। সেই মতো পরের দিন বৈঠকও হয় শিক্ষক-অভিভাবকদের। সেখানে ভর্তি বাবদ ৩০০ টাকা নেওয়ার কথাই ঠিক হয়।
কিন্তু শনিবার সেই বর্ধিত ৪০০ টাকাই ভর্তির জন্য নেওয়া হয়। সেই নিয়ে ফের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখায়। তখন প্রধান মিঠুন বিশ্বাস ও তাঁর ভাই পড়ুয়াদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ফের উত্তেজনা দেখা যায়। স্কুলের পড়ুয়ারা এদিন স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ভিতরে আটকে ছিলেন শিক্ষকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সেখানে গেলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
সাধারণ মানুষদের একটা অংশও পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। লাঠি দিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়। বেগতিক দেখে পুলিশ প্রথমে পিছু হটে। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ ও সাগড়পাড়ার ওসি অরিজিৎ ঘোষ। পড়ুয়াদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ মানতে চাননি ওই পঞ্চায়েত প্রধান মিঠুন বিশ্বাস। পাল্টা প্রধান বলেন, "পড়ুয়াদের খেপিয়ে দিয়ে সিপিএম-কংগ্রেস এসব করাচ্ছে। পুলিশকে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।"